সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিনহাটায় মাত্র ৫৭ ভোটে জিতেছেন বিজেপি’র প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। ওই কেন্দ্রে মোট ২১ রাউন্ড গণনা হয়েছে। পোস্টাল ব্যালট গোনা শুরু হওয়ার পর দুই ফুলের প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে। শেষ রাউন্ডে এসে লড়াই আরও জমে ওঠে। তবে জয় হাসিল করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে। প্রাপ্ত ভোটের হিসেব বলছে, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহ পেয়েছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৭৮টি ভোট। আর নিশীথ প্রামাণিক পেয়েছেন ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৫টি ভোট।
একই অবস্থা বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের। এই কেন্দ্রে মাত্র ৪২৩ ভোটে হেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত। এখআনে জিতেছেন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী বাণেশ্বর মাহাত। একই চিত্র পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি বিধানসভা কেন্দ্রে। এখানে তৃণমূলের উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে ৬৭৯ ভোটে পরাজিত করেছেন বিজেপি’র অজয়কুমার পোদ্দার। এই কেন্দ্রে বিজেপি পেয়েছে ৮১ হাজার ১১২টি ভোট, উল্টোদিকে উজ্জ্বলবাবু পেয়েছেন ৮০ হাজার ৪৩৩টি ভোট।
পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটাল বিধানসভা আসনে কোনওরকমে পদ্ম ফুটেছে। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শীতল কপাট পেয়েছেন ১ লক্ষ ৫ হাজার ৮১২টি ভোট, অন্যদিকে, তৃণমূলের শঙ্কর দোলাইয়ের ঝুলিতে গিয়েছে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৮৪৬টি ভোট। জয়ের ব্যবধান মাত্র ৯৬৬ ভোট।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তিন হাজার বা তার চেয়ে কম ভোটে বিজেপি জয়লাভ করেছে, এমন বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যা ১২টি। বনগাঁ দক্ষিণে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার ২ হাজার ৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন। বাঁকুড়া কেন্দ্রের ছবিও অভিন্ন। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি’র নীলাদ্রিশেখর দানার কাছে মাত্র ১ হাজার ৪৬৮টি ভোটে পরাজিত হয়েছেন। গাজোলের বিজেপি প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ১ হাজার ৭৯৮। একইসঙ্গে, একুশের নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বহু চর্চিত কেন্দ্র হল নন্দীগ্রাম। এই কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখানে ১ হাজার ৯৫৬টি ভোটে পরাস্ত করেছেন ‘দলবদলু’ শুভেন্দু অধিকারী। ১৭টি রাউন্ড গণনা হয়েছে। তবে ষোড়শ রাউন্ড শেষেও ৬০২ ভোটে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।