সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
মধ্যপ্রদেশের উপর থাকা ঘূর্ণাবর্তটি এখন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের উপর অবস্থান করছে। সেখান থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বেরিয়ে পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরবঙ্গ হয়ে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তার সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে জোরালো দখিনা বাতাস প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প টেনে আনার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হয়ে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান সহ কয়েকটি জেলায় কিছু জায়গায় তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। দীঘা, লালগড়, ঝাড়গ্রাম, কাকদ্বীপে ৪০ মিমি, খড্গপুরে ৩০ মিমি, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হলদিয়া, আসানসোল প্রভৃতি জায়গায় ২০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
রাজ্য কৃষিদপ্তরের মুখ্য আবহাওয়াবিদ মৃণাল বিশ্বাস জানিয়েছেন, দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এখন মাঠে পাটচাষ চলছে। এই বৃষ্টিতে পাটচাষিদের সুবিধা হবে। বোরো ধান এখন পরিণত অবস্থায় রয়েছে। মাঝারি মানের বৃষ্টিতে বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে বৃষ্টির সঙ্গে খুব জোরালো হাওয়া দিলে ধানের ক্ষতির একটা আশঙ্কা থাকে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিমি গতিবেগে কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়া দিতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলে সব্জি চাষের বিশেষ ক্ষতি হবে না, বরং ভালোই হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। বৃষ্টিতে ভূগর্ভস্থ জলস্তর বাড়বে।