কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
এদিকে, চুঁচুড়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ এদিনই সাফাইকর্মীদের আন্দোলন নিয়ে সমঝোতার বদলে সংঘাতের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিকেলে পুরসভার প্রশাসক গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি নোটিস জারি করে আন্দোলনে যোগ দেওয়া সাফাইকর্মীদের ‘গরহাজির’ ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে প্রচ্ছন্ন হুমকির সঙ্গে জানিয়েছেন, এভাবে কাজে গরহাজির হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারী সাফাইকর্মীদের বদলে বিকল্প কর্মী নেওয়ার কথা ভাবছেন পুরকর্তারা। আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতৃত্ব জানিয়েছে, পরিস্থিতি তাঁরা পর্যালোচনা করছেন। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, ভোটের আগে দু’পক্ষের সংঘাতে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা এবং পুরনাগরিকদেরই ভোগান্তির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী সাফাইকর্মী সংগঠনের নেতা রাধেশ্যাম শঙ্খবণিক বলেন, পুরকর্তারাই ৬০ টাকা মজুরি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০২০ সালে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি। তারপরেও আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কারণ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বর্ধিত মজুরি মিলবে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও আমরা তা পাইনি। মজুর মেরে যদি পুরসভার সুবিধা হয় তবে আমাদের আন্দোলনও চলবে। পরিণতি যা হবে আমরা সইতে রাজি। পুরসভার প্রশাসক বলেন, নাগরিক পরিষেবা বিঘ্নিত করে আন্দোলন বরদাস্ত করা হবে না। আন্দোলনকারীরাই আমাদের কড়া পদক্ষেপের পথে যেতে বাধ্য করছেন। পুরসভা ও সাফাইকর্মীদের আকচা-আকচিতে ক্ষুব্ধ শহরবাসী। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাফাইকর্মীদের নিয়ে সমস্যা পুরসভাতে বহুদিন ধরেই চলছে। পুরকর্তাদের ব্যর্থতার কারণে শহর আবর্জনায় ভরে থাকছে।