কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একাধিকবার পুলিস ফাঁড়ি ঘেরাও, আন্দুল রোড অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। সোমবার সকালে কয়েক ঘণ্টা আন্দুল রোড অবরোধ করার পর পুলিসের হস্তক্ষেপে তা উঠে গেলেও, এদিন রাতে ফের এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। কয়েকহাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বেশ কিছু লোক কিছু দোকানপাট, গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিস ওই এলাকায় গেলে তাদের দিকে ঢিল, ইট ছুঁড়ে মারা হয়। হেনস্তাও করা হয় পুলিসকে। এমন একাধিক অভিযোগে ওই রাতেই এলাকায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে পুলিস। ধৃত ২৪ জনকে মঙ্গলবার হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের মধ্যে তিনজনকে তিন দিনের পুলিস হেফাজত এবং বাকিদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পোদরার বাসিন্দা রুকসারা খাতুন (২২) গত ৫ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পরের দিনই পরিবার থানায় দায়ের করেছিল। গত শনিবার এলাকার পীরের পুকুর বলে পরিচিত একটি জলশয় থেকে রুকসারার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তারপরই পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, পুলিস যথাযথ সক্রিয়তা দেখালে মেয়েটিকে হয়তো মরতে হতো না। ওই তরুণীর জলে ডুবে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, তাঁকে অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন বিক্ষুব্ধরা। তদন্তের দাবিতে নাজিরগঞ্জ ফাঁড়ি অবরোধ, আন্দুল রোড অবরোধ করা হয়। সোমবার রাতে ফের উত্তেজনা ছড়ালে বিশাল পুলিস বাহিনী এলাকায় আসে। অনেক রাত পর্যন্ত এলাকায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ ছিল বলে জানা গিয়েছে। সাঁকরাইল থানার এক পদস্থ পুলিসকর্তা বলেন, ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন বাইরের লোকও রয়েছে। তবে এখন এলাকা শান্তিপূর্ণ। পুলিস নজরদারি বাড়িয়েছে। কোনও অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।