কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
চিকিৎসক ও তাঁদের পরিবারের সমস্ত সদস্যের করোনা টিকাকরণ আবশ্যিক করা নিয়ে গোড়া থেকেই ডাক্তারদের বিভিন্ন সংগঠন সরব ছিলেন। অথচ চিকিৎসকদেরই একাংশ ভ্যাকসিন নেননি। এরমধ্যে শহরের কিছু নামকরা ডাক্তারও আছেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসক রাজা ভট্টাচার্য সোমবার সকালে টিকাকরণ কেন্দ্রে যাওয়ার কুপন সংগ্রহ করেও পরে সেই কুপন ফেরত দিয়ে হাসপাতালে নিজের ঘরে চলে যান। সার্জারি, বায়োকেমিস্ট্রি সহ বেশকিছু বিভাগের সিনিয়র ডাক্তারের নাম তালিকায় থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ভ্যাকসিন নেননি। অন্যদিকে, অশীতিপর চিকিৎসক ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রথম সারির ফিজিশিয়ানরা এই বয়সেও ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ‘বিজ্ঞানের জয়গান’ গাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। সেখানে ডাক্তারদের অনেকেরই দ্বিধা কাটছে না ইমার্জেন্সি অথরাইজেশন পাওয়া কোভিশিল্ড নিয়ে। কী বলছেন রাজাবাবু? টিকা নিতে কুপন সংগ্রহ করার কথা স্বীকার করে মঙ্গলবার তিনি বলেন, আসলে আমার একটু সর্দি ও গলা ব্যথা ছিল সোমবার। তাই নিইনি। ঘনিষ্ঠমহল এইসব নামজাদা ডাক্তারবাবু অবশ্য বলছেন, চিকিৎসা পেশায় তাঁদের ‘গুরু’রা শিখিয়েছেন কোনও ওষুধ পাঁচ বছর বাজারে সফল প্রমাণিত না-হলে, তা রোগীদের লিখতে নেই। টিকার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম করেন কীভাবে? সুপার ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, আসল কথা ওঁরা ভয় পাচ্ছেন। তবে এই সংখ্যাটি মাত্র ২-৩ শতাংশ। আমরা বলছি, আপনারাই যদি ভয় পান, আরও কিছুদিন দেখে নেওয়ার কথা ভাবেন, সাধারণ মানুষ কী বলবে? একই চিকিৎসকের নামে দু’বার এসএমএস আসার কথাও স্বীকার করেছেন সুপার।
এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও টিকাগ্রহণ নিয়ে মিশ্র সাড়া মিলেছে। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার হার ছিল ৯০ শতাংশের বেশি। ডায়মন্ডহারবারে ৫০ শতাংশের কিছু বেশি। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, জেলাজুড়ে এএনএম বা গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মীদের বড় অংশ এই টিকা নিতে রাজি হচ্ছেন না। কর্মক্ষেত্র নিয়ে দাবিদওয়া পূরণ হয়নি বলেই জেলার এএনএমদের একাংশ ভ্যাকসিন নিতে রাজি নন। দপ্তরের কর্তাদের অনুমান, প্রয়োজনীয় প্রচার না-হওয়ায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মধ্যেও টিকা গ্রহণের আগ্রহ কম।