সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উমপুনের সময় হাসনাবাদের টিয়ামারি ও খলিসাখালি এলাকায় ডাঁসা নদীর পাড়ে ভাঙন হয়। এলাকার ১৬টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। এরপর জল কমলে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে গ্রামবাসীরা খলিসাখালিতে নদীবাঁধ তৈরি করেন। প্রায় ৭০০ ফুট রিং বাঁধ দেওয়া হয়। একইভাবে টিয়ামারিতে স্থানীয় ইটভাটার মালিকরা নদীবাঁধ তৈরি করেন। জল নেমে যাওয়ায় নতুন করে বাঁচার লড়াই শুরু করেছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু, বুধবার প্রবল জোয়ারে দুটি জায়গায় রিং বাঁধ জলের তোড়ে ভেসে যায়। এর ফলে পাশের হাসনাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুলিয়া ও খাঁপুকুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামও জলমগ্ন হয়েছে।
অন্যদিকে, বুধবার রাতে মিনাখাঁর হরিননহুলাতে বুড়ি নদীর রিং বাঁধ ভেসে গিয়েছে। এছাড়া বুড়ি নদীর কালীবাড়ি বাগদিখালি এলাকাতেও নদীবাঁধ এখনও বাঁধা যায়নি। এর ফলে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১০টি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এই ব্লকের সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কোকিলপুর এলাকা। এখানে এখনও বুড়ি নদীর বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করা যায়নি। বর্তমানে ভাঙন মারাত্মক আকার নিয়েছে। কোকিলপুর গ্রামের সিংহভাগ এলাকায় জোয়ার-ভাটা খেলছে। আশপাশের প্রায় ৬টি গ্রাম প্লাবিত। এই পরিস্থিতিতে ভরা কোটালের জোয়ার কতটা বিপর্যয় আনবে, তা নিয়ে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের।