সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
উত্তর কলকাতার সঙ্গে উত্তর শহরতলির যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল টালা ব্রিজ। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়তেই ৭৫ বছরের পুরনো এই ব্রিজ নিয়েও টনক নড়ে রাজ্যের। সমস্ত ব্রিজ, উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলের অধীনস্থ সংস্থা ‘রাইটস’ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের রিপোর্টে টালা ব্রিজকে বিপজ্জনক আখ্যা দেয়। গত বছর পুজোর সময় দেশের নামকরা সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়নাকে দিয়ে ব্রিজটি আরও একবার পরীক্ষা করান মুখ্যমন্ত্রী। রায়নার রিপোর্টও একই কথা বলেছিল। বিশেষ করে রেল লাইনের উপরের অংশের অবস্থা ‘অত্যন্ত খারাপ’ বলে মন্তব্য করা হয় রিপোর্টে। তাই গোটা ব্রিজটি ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেন রায়না।
তারপর আর দেরি করেননি মুখ্যমন্ত্রী। নতুন টালা ব্রিজ নির্মাণে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স তৈরি করেন তিনি। ইঞ্জিনিয়াদের নিয়ে পৃথক টিম তৈরি করে পূর্তদপ্তরও। রেলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও চলে। শেষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। ভেঙে ফেলার পুরো টাকাটাই বহন করতে হয় রাজ্যকে। তখনও কোভিডের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়নি। ঘোষিত হয়নি লকডাউনও। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল নিত্যযাত্রীদের। ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে লকডাউন শুরু হলে ভাঙ্গার কাজে গতি আসে।
ভাঙার কাজ যখন চলছে, তখনই পূর্তদপ্তর নতুন ব্রিজ তৈরি করার জন্য টেন্ডার ডাকে। বরাত পায় এল অ্যান্ড টি। জানা গিয়েছে, রেলের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই নতুন ব্রিজের রূপরেখা তৈরি তৈরি হতে চলেছে। যা শহরের একটি অন্যতম ব্রিজ হয়ে দাঁড়াবে। এর আগেও শহরে গার্ডেনরিচ উড়ালপুল সহ বেশ কয়েকটি ব্রিজ তৈরি করেছে এল অ্যান্ড টি। নতুন ব্রিজটি দেখতে হবে অনেকটা মা উড়ালপুলের মতো। অন্তত, প্রাথমিক রূপরেখা তাই বলছে।