বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিংয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেই প্রধানমন্ত্রী চলে আসেন মিলেনিয়াম পার্কে। মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা আগেই চলে এসেছিলেন এখানে। প্রধানমন্ত্রী আসার পর একসঙ্গে ওঠেন মঞ্চে। জাহাজমন্ত্রী মনসুখভাই মাণ্ডোভিয়া উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান তিন অতিথিকে। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জলযানে চেপে মিলেনিয়াম পার্ক সংলগ্ন জেটি থেকে বেলুড় মঠের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাঁর সঙ্গে যান কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রীও।
কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ (কেওপিটি) সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যায় কয়েক ঘণ্টা আলোকমালায় সাজানো হবে হাওড়া ব্রিজকে। সঙ্গে বাজবে সঙ্গীত। যা ভালোভাবে উপভোগ করা যাবে মিলেনিয়াম পার্ক থেকে। বন্দরের দেড়শো বছর উদযাপন উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে এই প্রকল্পটি উপহার দিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। এটা করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বেশ কয়েক বছর আগে হাওড়া ব্রিজ আলোকিত করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। এবার ‘এলইডি’ আলো লাগিয়ে অন্য মাত্রার আলোকসজ্জায় সেজে উঠল হাওড়া ব্রিজ। সন্ধ্যার হাওড়া ব্রিজ এখন শহরের অন্যতম পর্যটনের জায়গা হবে বলে আশা বন্দর কর্তৃপক্ষের।
আর রবিবার সকাল ১১ টায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা বন্দরের দেড়শো বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী দু’জনেই বক্তব্য রাখবেন। তাঁদের ভাষণে তাজপুরে প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর, কলকাতা-হলদিয়া বন্দরে জাহাজ চলাচলের জন্য নাব্যতা বজায় রাখার বিশেষ উদ্যোগ ও সাগরদ্বীপকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগ করতে সেতু নির্মাণ প্রভৃতি বিষয়গুলি থাকে কি না, সেদিকেই নজর সংশ্লিষ্টদের। মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে এই সব ইস্যু নিয়ে সোচ্চার। প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এই প্রসঙ্গগুলি তুললে প্রধানমন্ত্রী তার কোনও জবাব দেন কি না, সে দিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী। এই অনুষ্ঠানে কলকাতা বন্দরে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিল্যানাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠান সেরেই ফিরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।