বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর বাবার বারুইপুরে সব্জির দোকান রয়েছে। সে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূর কালিকাপুর বাসন্তী বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। এবার যষ্ঠ শ্রেণী থেকে সদ্য সপ্তম ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়েছে। তাঁর পরিবারের এক সদস্য জানান, গত মঙ্গলবার ছিল ভর্তির দিন। এজন্য সকাল দশটার সময় সে একবার স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু ফলাফল সংক্রান্ত শংসাপত্র নিতে ভুলে যাওয়াতে ফের বাড়িতে আসে। সেই কাগজ নিয়ে আধ ঘণ্টা পর সে যখন সাইকেলে করে স্কুল যাচ্ছিল, তখনই উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোটরবাইক থেকে হামলা হয়। বাইকের পিছনে বসে থাকা একজন তার গলা লক্ষ্য করে অস্ত্রটি চালায়। এই হামলার জন্য একেবারে প্রস্তুত ছিল না সে। ধারাল অস্ত্রটি তার নাক, গাল ও ঠোঁটের অনেকটা অংশ গভীর ক্ষত তৈরি করে। সাইকেল থেকে পড়ে যায় ওই ছাত্রী। রক্তে ভেসে যায় মুখের চারপাশ। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে সে। তাতে চারপাশ থেকে লোকজন চলে আসে। হামলাকারীরা মোটরবাইক নিয়ে দ্রুত উধাও হয়ে যায়।
ঘটনার পরই ছাত্রী নিয়ে যাওয়া হয় এস এস কে এম হাসপাতালে। সেখানে তার চিকিৎসা চললেও বিপদমুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে তার পরিবার। ছাত্রীর মামার অভিযোগ, ঘটনার পরদিন এ নিয়ে সোনারপুর থানায় যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সময় আমাদের বলা হয়, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে পুলিস রিপোর্ট না এলে কিছু করা যাবে না। শুক্রবার তা থানায় জমা হওয়ার পর কেস হয়। কিন্তু সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছিল না বলেই এদিন রাস্তা অবরোধ করা হয়। মামার কথায়, স্কুলে যাওয়ার সময় একটি ছেলে বিরক্ত করত বলে জানতে পেরেছি। সেই জায়গা থেকেই এই হামলা হয়েছে বলে সন্দেহ করছি। তবে এক স্কুল পড়ুয়ার উপর দিনের আলোয় এমন মারাত্মক ঘটনা হলেও সোনারপুর থানা তদন্ত না করে এতদিন চুপ ছিল কেন-তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, থানার এই উদাসীনতার জন্য অপরাধের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে।