মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
সূত্রের খবর, যন্ত্রপাতি খাতে এই বিপুল বকেয়ার মধ্যে স্যাডো ফান্ড বাবদই (যার বাস্তবে অস্তিত্ব নেই, কিন্তু যা পরে পাওয়া যাবে এই নিশ্চয়তা দেখিয়ে বাকিতে জিনিসপত্র কেনা হয়) বকেয়া রয়েছে ১১ কোটি ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩২ টাকা। আর জিএসটি ফান্ড বাবদ বাকি রয়েছে আরও ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, এই বিপুল অঙ্কের বকেয়ার জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে বিভিন্ন বিভাগে। বিশেষত, হৃদরোগ, অর্থোপেডিকস প্রভৃতি বিভাগ অনেকটাই চিকিৎসা যন্ত্রপাতি নির্ভর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাসপাতাল কর্তা বলেন, স্টকে যা পেসমেকার আছে, তাতে বড়জোর এক মাস টেনেটুনে চলতে পারে। স্টেন্টের ক্ষেত্রে এই স্টক আরও কম। বেশ কিছু অর্থোপেডিক যন্ত্রপাতি কোম্পানিগুলিকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে কেনা চলছে। জানি না, এরপর কী হবে!
প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা বকেয়ার ঠেলায় এমনিতেই হাসপাতালের রোগীদের জন্য দামি অ্যান্টি-ক্যান্সার ও অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধ কেনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিন ধরনের ইনসুলিনের মধ্যে এক ধরনের ইনসুলিন অমিল। বাকি দু’ধরনের ইনসুলিন বড়জোর আর সপ্তাহখানেক সরবরাহ করা যাবে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে, আর বড়জোর দু’সপ্তাহ বিনামূল্যে ওষুধ বা যন্ত্রপাতি দেওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে পরিস্থিতি না পাল্টালে তারপর আউটডোরে আসা হাজার হাজার রোগীদের ওষুধ কীভাবে দেওয়া হবে, কে জানে!
এন আর এস-এর এক পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি সংবাদপত্রে বকেয়ার জন্য হাসপাতালের ওষুধ পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছিল স্বাস্থ্যভবন। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে বিপুল বকেয়ার হিসেবের খুঁটিনাটি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওষুধে সাড়ে ১২ কোটি আর যন্ত্রপাতিতে প্রায় ১৩ কোটি মিলিয়ে বাজারে এন আর এস-এর ধার বর্তমানে ২৫ কোটি!