মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
বিএসএফের ১৩৭নং ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার গজরাজ যাদব বলেন, আমাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে খবর ছিল কাফ সিরাপ কারবারের কিং পিন জেলায় এসে ডেরা বেঁধেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা কিং পিন রবিউল ইসলামকে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছি। তার সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় আর কে কে যুক্ত আছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
গজলার ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, বিএসএফ কাফ সিরাপ কারবারের কিং পিনকে আটক করে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসবাদ শুরু করেছে পুলিস। তার সঙ্গে এই জেলার কে কে জড়িত রয়েছে তা নিয়েও তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাচারের সঙ্গে যুক্ত মূল পাণ্ডাকে কিং পিন বলা হয়। ভারত থেকে পাচারের সমস্ত সামগ্রী তারা কিনে নেয়। তারপর সেই সামগ্রী বাংলাদেশের খোলাবাজারে বিক্রি করে থাকে। শীত পড়তেই সীমান্ত জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের একাধিক এলাকা দিয়ে দেদার পাচার কার্য শুরু হয়েছে। রমরমিয়ে প্রকাশ্যে গোরু, কাফ সিরাপ, মশলা, পেঁয়াজ পাচার হচ্ছে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশে থেকে বৈধ ভাবে ভারতে এসে দীর্ঘদিন ধরে থাকতে শুরু করেছে ধৃত রবিউল ইসলাম। সে এই জেলার কিছু পাচারকারীদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক তৈরি করে অবাধে পাচারকার্য যুক্ত হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে খবর ছিল। বেশকিছু দিন ধরে বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মীরা সীমান্তের নানা এলাকায় কাফ সিরাপ কারবারের পাণ্ডা রবিউলকে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। বিএসএফের কাছে খবর ছিল বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিসপুর সীমান্তের সানাপাড়া এলাকায় কোনও এক পাচারকারীর সঙ্গে দেখা করতে আসে রবিউল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। বিএসএফ জওয়ানরা হাতেনাতে রবিউলকে আটক করে। তার কাছ থেকে ৫০ বোতল কাফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএসএফ জানতে পারে উদ্ধার হওয়া কাফ সিরাপ সে বাংলাদেশে নমুনা হিসেবে পাঠানোর জন্য সীমান্তে নিয়ে এসেছিল। পুলিস ও বিএসএফ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।