সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুর প্রশাসনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। প্রয়োজনে জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে ঘরে ঘরে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবে। তখন চাইলেও সামলাতে পারবে না প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে উত্তর কলকাতার হাল তুলনায় অনেকটাই ভালো। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতা ও সংযুক্ত অংশের অবস্থা দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে।
শহরতলিতে ডেঙ্গু কতটা ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে, তা শনিবার কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর প্রশাসনিক বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সামনে তুলে ধরেন ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে পুকুরপাড়গুলিতে আবর্জনা জমে থাকার কারণে। ফাঁকা জমিতে আবর্জনা স্তূপাকৃত অবস্থায় রয়েছে। কিছু নাগরিক ইচ্ছামতো আবর্জনা ফেলছে। এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ না করা হলে বিপদ বাড়বে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ডিজি শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়কে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেন।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগ কলকাতায় ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকা যে চারটি ওয়ার্ডের কথা বলেছে, তার মধ্যে রয়েছে ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড। ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মেয়রকে অভিযোগের সুরে বলেন, প্রথম থেকেই যদি তথ্য গোপন না করে স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যবস্থা নিত, তাহলে এই অবস্থা হতো না। মেয়রও গত শুক্রবার পুরভবনে স্বাস্থ্যসচিব সঙ্ঘমিত্রা ঘোষের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর বলেছিলেন, এই পুকুরপাড়গুলি সাফাইয়ের জন্য লাগাতার অভিযান চালাতে হবে। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের কথায়, নাগরিকদের মধ্যে এখনও দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে। সচেতনতা না ফিরলে পরিস্থিতির মোকাবিলা সম্ভব নয়। কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২৮০০’র কাছাকাছি। ডেঙ্গুর মোকাবিলায় এখনই আরও সক্রিয় না হলে বড়সড় বিপর্যয় হতে বাধ্য শহরে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ কলকাতা ও শহরতলির সন্তোষপুর, যাদবপুর, পর্ণশ্রী, তিলজলা, বেহালা, টালিগঞ্জের মতো এলাকাগুলিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, আমি যতটা পারছি করছি। কিন্তু কাউন্সিলারদের নিজ নিজ ওয়ার্ডকে দেখতে হবে। তাঁরাই নিষ্ক্রিয়। শুধু নাগরিক নন, কাউন্সিলারদেরও সচেতন হতে হবে।