কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের তরুচ্ছায়া ক্লাব পরিচালিত কালীপুজো এবার ৫০ বছরে পা দিয়েছে। এই ক্লাবের মুখ্য পৃষ্ঠপোষক বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়। গত বছরও প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সুনীলবাবু। এবারও ক্লাবের খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানে তাঁর সগর্ব উপস্থিতি সকলের নজর কেড়েছিল। ক্লাবের আমন্ত্রণপত্রেও মুখ্য অতিথি হিসেবে সুনীলবাবুর নাম রয়েছে। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলেও ক্লাবের তরফে রাজ্যপালকে দিয়ে পুজোর উদ্বোধনের বিষয়টি পাকা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর তাল কাটতে শুরু করে। ঘরেবাইরে এই নিয়ে নানান আলোচনা কানে আসার পর পুজো কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ক্লাবকর্তাদের চিঠি দেন সুনীলবাবু। যদিও ওই চিঠিতে তিনি ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলে পদত্যাগ করতে চেয়েছেন।
সূত্রের খবর, রাজ্যপালের প্রশাসনিক বৈঠকে না যাওয়ার জন্য আগেভাগেই জনপ্রতিনিধিদের ফরমান জারি করেছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ঠিক একইভাবে পুজোর উদ্বোধনে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো ক্লাবের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার অলিখিত নির্দেশ নিচুতলা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। যেহেতু তরুচ্ছায়া ক্লাবে রাজ্যপালের আসা নিশ্চিত হয়েছে, তাই পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বারাসত শহরে শাসক দলের ডাকসাইটে নেতা হিসেবে তাঁর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হওয়া বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরে জলঘোলা হতে শুরু করে। সমস্ত দিক বিচার করেই বিতর্ক এড়াতে তিনি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন।
এই বিষয়ে সুনীলবাবু বলেন, রাজ্যপাল রাজ্যপালের মতো আচরণ ও কাজ করছেন না। সেকারণে, রাজ্যপালের প্রতি স্বাভাবিক সম্মান ও শ্রদ্ধার জায়গা নেই। যেহেতু ওই ক্লাবের পুজোর উদ্বোধনে রাজ্যপাল আসছেন, তাই আমি প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। তাছাড়া ওই ক্লাবে আমাকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক করা হলেও ক্লাবের কোনও মিটিংয়ে আমি থাকি না। রাজ্যপালকে উদ্বোধনে ডাকা হয়েছে তা আমি জানতাম না।