বিনোদন

অভিনয় ভালো, ডোবাল গল্প

সিনেমার সমালোচনা: দো পাত্তি
অভিনয়ে: কাজল, কৃতী শ্যানন, শাহির শেখ, তনভি আজমি

গল্পটা শুরু হয়েছিল যমজ বোনদের পারস্পরিক হিংসা দিয়ে। শেষ হল পারিবারিক হিংসা দিয়ে। শুরুতেই স্পয়লার দিতে হল। কারণ ছবির এই যাত্রাপথটি বিশেষ সুবিধের মনে হল না। যমজ বোন সৌম্যা আর শ্যাইলির ভূমিকায় দেখতে পাবেন কৃতী শ্যাননকে। তিনি ওটিটি-র এ ছবির এক প্রযোজকও বটে। কপিবুক ফলো করা পুলিস ও আইনজীবী বিদ্যা জ্যোতির ভূমিকায় রয়েছেন কাজল। আর ধনী ব্যবসায়ী ধ্রুব সুদ এবং দুই বোনের হার্টথ্রব হিসেবে পর্দায় এসেছেন শাহির শেখ। 
অভিনেতাদের চেষ্টার কসুর ছিল না। খামতি কণিকা ধিলোঁর গল্প এবং চিত্রনাট্যের। (সদ্য ‘ফির আয়ি হাসিন দিলরুবা’ ছবিতেও কণিকা হতাশ করেছেন।) কাজলকে ‘দো পাত্তি’তে কিছুটা কম সময় দেখতে পাওয়ার জন্য আক্ষেপ হতে পারে তাঁর ভক্তদের। কৃতী দুই বোনের বিপরীত ব্যক্তিত্ব দিব্যি সামলেছেন। দু’টি চরিত্রেই তিনি বিশ্বাসযোগ্য। আর ফ্ল্যামবয়েন্ট অথচ বদরাগী প্রেমিক এবং স্বামী হিসেবে শাহির শেখকেও মেনে নিতে অসুবিধা হয় না।
এবার আসা যাক গল্পের কথায়। পারিবারিক বা গার্হস্থ্য হিংসা নিয়ে বলিউডে ইদানীংকালে অনেক বেশি কাজ হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, ওটিটিতেই মুক্তি পেয়েছিল ‘ডার্লিংস’। তার কিছু আগে হল-এ মুক্তি পেয়েছিল ‘থাপ্পড়’। এই ছবিগুলো আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল কীভাবে পিতৃতন্ত্রের চোরা বীজ সযত্নে লালিত হয় পরিবারের অন্দরে। ছবির গল্পগুলোও সেই যাত্রায় সহায়ক হয়েছিল। ‘দো পাত্তি’-র ক্ষেত্রে সেটা হল না কেন? গল্পের দুর্বলতাই ছবিকে সেই উচ্চতায় পৌঁছতে পারেনি।
‘দো পাত্তি’-তে মাজি চরিত্রের (তনভি আজমি) বয়ান থেকে দর্শক পরিচিত হন যমজ বোনের কাহিনির সঙ্গে। যদিও এই বয়ানের সঙ্গে পরবর্তীকালে দুই বোনের পারস্পরিক রসায়ন আর মিলবে না। সৌম্যা শান্তশিষ্ট, গোবেচারা। শ্যাইলি ডাকাবুকো, স্ট্রিটস্মার্ট। ধ্রুবকে প্রথমদিকে ভালো লাগছিল সৌম্যারই। কিন্তু ঝড়ের গতিতে শ্যাইলি এসে সব উল্টেপাল্টে দিয়ে বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে নেয় তাকে। দু’বোনের মধ্যে আজন্ম প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব। শ্যাইলি কিছুতেই জিততে দেবে না সৌম্যাকে। যদিও ঘটনাক্রমে শ্যাইলিকে ছেড়ে ঘরোয়া সৌম্যাকেই বিয়ে করে ধ্রুব। শ্যাইলি তারপরেও হাল ছাড়েনি। নানাভাবে সৌম্যার জীবনে অনধিকার প্রবেশ করেই চলে সে। এমনকী আবার ধ্রুবকে কাছে টানারও চেষ্টা করে। ওদিকে ধ্রুবর বড় শত্রু তার সীমাহীন রাগ। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তার রাগের শিকার হয় সৌম্যাও। ছবির এই পর্ব থেকেই ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। বেরিয়ে আসে সৌম্যা-শ্যাইলির মায়ের অতীত। 
গার্হস্থ্য হিংসার মুখে পড়েও তা চেপে রাখে অনেকেই। নির্যাতনের মাত্রা বাড়লেও পুলিসের কাছে তাদের মুখে কুলুপ। পারিবারিক চৌহদ্দিতে থাকা এই হিংসা নিয়ে কথা বলাই যেন রীতিবিরুদ্ধ। বাইরে থেকে কেউ হিংসা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও অধিকাংশ সময় তা চেপে দেওয়া হয় ‘ঘরোয়া ব্যাপার’ বলে। ঘর থেকে হিংসা টেনে বের করে তা নিয়ে কথা বলার দায়িত্বে ছিল পর্দার পুলিস অফিসার দিব্যা জ্যোতি। নিয়মমাফিক মুখ খুলতে আগ্রহী ছিল না সৌম্যা। গল্পের মোড় ঘুরতেই দর্শক দেখেন, যে সৌম্যাকে সহ্য করতে পারত না শ্যাইলি, সে-ই সৌম্যার জন্য হঠাৎ সুরক্ষার ঢাল হয়ে ওঠে। পরিস্থিতির জেরে ফেঁসে যায় ধ্রুব। 
গার্হস্থ্য হিংসার মতো সিরিয়াস বিষয় নিয়ে ছবির শেষার্ধ এগিয়েছে। কিন্তু গোটা গল্পের নিরিখে বিষয়টা মনে হয়েছে আরোপিত। শ্যাইলির আকস্মিক চারিত্রিক বদলও ধাক্কা দেয় দর্শককে। কাজলের মতো শক্তিশালী অভিনেত্রী স্ক্রিনে থেকেও তাই রাশ টানতে পারেননি। তবে চোখ জুড়িয়েছে উত্তরাখণ্ডের সিনেমাটোগ্রাফিতে। গান অবশ্য একটাও মনে থাকার মতো নয়।
 
অন্বেষা দত্ত 
6d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

লাগাতার প্রচেষ্টার পর কর্মে অগ্রগতি। বিশেষ কোনও ক্ষেত্র থেকে বড় বরাত প্রাপ্তির যোগ আছে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৬১ টাকা৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড১০৭.৫২ টাকা১১০.৪৫ টাকা
ইউরো৮৯.৯৯ টাকা৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
1st     November,   2024
দিন পঞ্জিকা