হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বিজ্ঞানী রাকেশ ধাওয়ানের (অক্ষয়কুমার) নেতৃত্বে ইসরো (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন) মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। একে একে রাকেশের টিমে যোগ দেয় তারা (বিদ্যা বালন), একা (সোনাক্ষী সিনহা), কৃতিকা (তাপসী পান্নু), নেহা (কীর্তি কুলহারি), বর্ষা (নিত্যা মেনন)। টিমে রয়েছেন পরমেশ্বর (শরমন যোশি) ও অনন্ত (এইচ জি দত্তাত্রেয়)। এরপরের গল্প সকলেরই জানা। কীভাবে একের পর এক বাধা টপকে মঙ্গল অভিযান সফল হল সেটাই ছবিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সেখানে যেমন সমস্যার সঙ্গে লড়াই রয়েছে, অতিনাটকীয়তা রয়েছে, তেমনই রয়েছে ভিলেনের উপস্থিতি। মহাকাশ বিষয়ক সিনেমার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ তত্ত্বের কচকচানিকে বিনোদনের মোড়কে উপস্থাপন করা। ছবির সৃজনশীল পরিচালক আর বাল্কি সেই চেষ্টায় সফল। তাই মঙ্গলযাত্রার পিছনে বিদ্যার ভারতীয় মহিলাদের গ্যাস বন্ধ করে গরম তেলে বাড়তি লুচি ভাজার তত্ত্ব বিশ্বাযোগ্য মনে হয়। আসলে আম আদমির জন্য ছবি তৈরি করতে পরিচালককে যতটা স্বাধীনতা নিতে হতো, জগন তা নিয়েছেন।
অক্ষয় ছবির মহিলা ব্রিগেডকে যথেষ্ট জায়গা ছেড়েছেন দেখে ভালো লাগল। সংসারহীন বিজ্ঞান পাগল একজন মানুষ এবং তাঁর নাছোড়বান্দা জেদকে বেশ ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ছবিতে তাঁর টিমের মহিলাদের ব্যক্তিগত জীবনের গল্পও সামনে এসেছে। তবে তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি জায়গা পেয়েছেন বিদ্যা এবং তিনি তা স্বাভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই কাজে লাগিয়েছেন। সোনাক্ষী, তাপসী, কীর্তি ও নিত্যা স্বল্প পরিসরে যথাযথ। ছবিতে হাসির খোরাক জুগিয়েছেন শরমন যোশি ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান অভিনেতা দত্তাত্রেয়। তবে ‘গ্র্যাভিটি’ বা ‘দ্য মার্শান’ দেখে ফেলা দর্শকের কাছে এই ছবির ভিএফএক্স মধ্যমানের মনে হতেই পারে। কিছু কিছু দৃশ্যে আরও যৌক্তিকতার প্রয়োজন ছিল। তা নাহলে ইসরোর বিজ্ঞানীরা গান গাইতে গাইতে অফিস সাজান! কিন্তু তা মিশনে ব্যাঘাত ঘটায়নি। সব মিলিয়ে ফ্যামিলি এন্টারটেনার হিসেবে এই ছবি তার কাঙ্খিত লক্ষ্যপূরণে সফল।
অভিনন্দন দত্ত