হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
শনিবার দমদমে গোরাবাজার এলাকায় জল জমে থাকতে দেখা যায়। কমলাপুর ঝিল ভেসে ঝিলের মাছ বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে এমন ছবিও দেখা গিয়েছে। দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান হরিন্দ্র সিং দাবি করেন, আমাদের পুরসভা এলাকার বেশিরভাগ জায়গায় জল নেমে গিয়েছে। কমলাপুর ঝিল ভেসে রাস্তায় জল জমেছে। আমরা দ্রুত ওই জল নামাবার চেষ্টা করছি। এছাড়া সেভাবে কোথাও জল জমে নেই। দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছিল এদিন। তার মধ্যে মতিঝিল এলাকায় বেশি জল জমেছে। এদিন দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু জমা জল দেখতে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন। কোথাও জল জমে থাকতে দেখলে সেখানে দ্রুত জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মেলা বাগান ও খালধার এলাকায় জল জমে থেকেছে এদিন।
বিধাননগর পুরসভা এলাকার চিনারপার্ক, সুকান্তনগর, জলবায়ু বিহারে জল জমে আছে। সল্টলেকের করুণাময়ী, এডি ব্লক সহ খালধারের বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। এছাড়া বাগুইআটি, নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও জল জমার চিত্র ধরা পড়েছে। দত্তাবাদ, মহিষবাথান, সল্টলেকের ভেড়ি এলাকায় ব্যাপক জল দাঁড়িয়েছিল। বৃষ্টির জন্য বিধাননগরের ১ নম্বর বরোর অফিসের কাজ লাটে ওঠে। ওই অফিসে গামবুট পরে অফিসে কাজ করতে হয় কর্মীদের। এই ছবি সল্টলেকে বিভিন্ন অফিসেও দেখা গিয়েছে। সেক্টর ফাইভেও ভালোরকম জল জমেছিল। পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে হাতিয়াড়া সংলগ্ন সর্দারপাড়া এলাকাতে এবারও জল জমেছে। দক্ষিণমাঠ, অরুণাচল, সুভাষপল্লীতে ব্যাপক দুর্ভোগ হয়েছে মানুষের। এছাড়া ঝিলবাগানে জল জমে মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ হয়েছে। চণ্ডীবেরিয়াতেও জল জমেছে।
এদিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তিনি জানান, এদিন পাম্প চালিয়ে, ম্যানহোল খুলে পরিষ্কার করা হয়েছে যাতে জল দ্রুত নেমে যায়। পুরসভার ৪ নম্বর ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ বাসিন্দাকে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষ সমন্বয় করে কাজ করেছে। বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি ও জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা এদিন বলেন, আমরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। নতুন পাড়া সহ দু-একটি পকেট ছাড়া সব জায়গায় জল নেমে গিয়েছে।
জল জমেছে উত্তর দমদম পুরসভা এলাকার অরবিন্দ পার্ক এলাকায়। এই পুরসভার ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায় আদর্শনগরে জল জমেছিল। তবে পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) দেবাশিস ঘোষ দাবি করেন, আমাদের কোথাও সেভাবে জল জমে নেই। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর জানান, জ্যাংড়া হাতিয়াড়া ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের গৌরাঙ্গনগর এলাকার খুব খারাপ অবস্থা। এমন অবস্থা হয়েছে অনেকের যে, পানীয় জল যোগাতে জলের পাউচ দিতে হয়েছে তাঁদের। অনেকে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না। ঘরবন্দি এরকম প্রায় ৯০টি পরিবার রয়েছে সেখানে। এদিন ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিডিও ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।