হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
প্রথমার্ধে রহস্য দানা বাঁধে কলমের নীচে। দ্বিতীয়ার্ধ এগতে না এগতেই গল্পে রকেটের মতো রঞ্জন (অম্বরীশ ভট্টাচার্য) আসে। কেন আসে? কীভাবে আসে? এইসবের একটাই উত্তর পরিচালক দিয়েছেন। বাইরে তো বাঙালিই বাঙালিকে সাহ্যয্য করবে। ঘটনার ঘনঘটার পরে শান্তির স্যাঁতস্যাতে জীবনে কি সূর্যের আলো দেখা দেয়? এই প্রশ্নের উত্তর এখানে খুঁজে লাভ নেই। তার জন্য সিনেমা হলে যেতে হবে।
প্রত্যেক মরশুমে একই টিম ধরে রাখলে খেলা ভালো হবেই। প্রতীমও সেই পথে হেঁটেছেন। ‘মাছের ঝোল’-এর টিম ধরে রেখে এই ছবিতেও পাওলি এবং ঋত্বিককে রেখেছেন পরিচালক। তাঁদের অভিনয় খুবই ভালো। গৌতম ঘোষ তাঁর চরিত্রে দারুণ। খবরের কাগজের অফিসের পরিবেশ চমত্কারভাবে তুলে ধরেছেন প্রতীম। আসলে এটা তো তাঁর চেনা মাঠ। অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে অম্বরীশের কথা। বাংলা ছবির বিশেষ চরিত্রগুলোতে তিনি অপরিহার্য হয়ে উঠছেন। চিত্রনাট্য খুব আহামরি না হলেও মন্দ নয়। সদ্য রাজনীতিতে পা দেওয়া অভিনেত্রী নন্দিতা যখন সাক্ষাত্কারে বলেন, এই সমাজে পুরুষরা চায় না অব দ্য ওম্যান, ফর দ্য ওম্যান, বাই দ্য ওম্যান। তাই পুরুষরা অভিনয় করতে করতে রাজনীতিতে এলে এত প্রশ্ন ওঠে না। অস্বস্তিতে ভরা সাংবাদিকের মুখ যেন দর্শকদের মুখকেই তুলে ধরে। শুভঙ্কর ভড়ের ক্যামেরা বেশ ভালো। অর্কর সঙ্গীত মানানসই। সব মিলিয়ে বলা যায়, মেঘলা পৃথিবীর মধ্যে এক চিলতে আলোর খোঁজে প্রতীমের উপর ভরসা করে হলমুখী হতেই পারেন দর্শক।