Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১১

‘নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী’— সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত এক কাহিনী। এই লেখাটি তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। লেখাটি শুরু করে বেশ কিছুটা এগবার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে ১৮৯৪ সালের ৮ এপ্রিল তিনি মারা যান। সাহিত্যসম্রাট সত্যিই ভূতে বিশ্বাস করতেন কিনা তা নিয়ে নানা জনে নানা কথা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন। কেউ কেউ বলেওছেন যে তিনি নাতি-নাতনিদের আবদার রক্ষার জন্য বানিয়ে বানিয়ে প্রতিদিনই ভূত-প্রেত-রাক্ষস-খোক্কোসদের গল্প শোনাতেন। তাঁদের কথা পুরোটাই মেনে নেওয়া সম্ভবপর নয়। কারণ তাঁরও ‘সৌভাগ্য’ হয়েছিল প্রেতদর্শনের। সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে তাঁর অসমাপ্ত গল্প ‘নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী’-র প্রথম পরিচ্ছদের উপর একটু চোখ রাখার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়। ওই কাহিনীর দুই প্রধান চরিত্র বরদা এবং সারদা। বরদা দাদা, সারদা ভাই। দুই ভাই সন্ধ্যার পর একসঙ্গে খেতে বসেছেন। হঠাৎ বরদা ছোট ভাই সারদার কাছে জানতে চাইলেন, ‘সারি, সত্য করে বলো দেখি, তোমার বিশ্বাস কি? ভূত আছে?
সন্ধ্যার পর টেবিলে দুই ভাই খাইতেছিল— একটু রোস্ট মটন প্লেটে করিয়া, ছুরি কাঁটা দিয়া তৎসহিত খেলা করিতে করিতে জ্যেষ্ঠ বরদা এই কথা কনিষ্ঠকে জিজ্ঞাসা করিল।
সারদা প্রথমে উত্তর না করিয়া এক টুকরো রোষ্টে উত্তম করিয়া মাস্টার্ড মাখাইয়া, বদনমধ্যে প্রেরণপূর্ব্বক, আধখানা আলুকে তৎসহবাসে প্রেরণ করিয়া, একটি রুটি ভাঙ্গিয়া বাম হস্তে রক্ষাপূব্বর্ক, অগ্রজের মুখ পানে চাহিতে চাহিতে চর্ব্বণ কার্য্য সমাপন করিল। পরে, এতটুকু সেরি দিয়া, গলাটা ভিজাইয়া লইয়া বলিল, ‘ভূত? না?’.......
তখন বরদা বলিল,‘Seriously’ সারি, ভূত আছে বিশ্বাস কর না?
সারি— না।
বরদা— কেন বিশ্বাস করো না?
সারদা— সেই প্রাচীন ঋষির কথা— প্রমাণাভাবাৎ। কপিল প্রমাণ-অভাবে ঈশ্বর মানিলেন না— আর আমি প্রমাণ অভাবে ভূত মানিব?....
বরদাকৃষ্ণ চটিয়া উঠিল— বলিল, কোথাকার বাঁদর। ভূত নাই!— ঈশ্বর নাই! তবে তুমিও নেই, আমিও নেই?......
সারদা জ্যেষ্ঠকে বলিল, তুমি নাই, আর আমি নাই— ইহা প্রায় philosophically true। কেন না, আমরা ‘mere permanent possibilities of sensation. আর এই যে আহার করিলাম, ইহাও না করার মধ্যে জানিবে, কেবল সেই possible sensation গুলার মধ্যে কতকগুলা sensation হইল মাত্র।
বরদা— সেই কথাই জিজ্ঞাসা করিতেছি, ভূত দেখা, ভূতের শব্দ শুনা, এ সব possible sensation নহে?
সারদা— ভূত থাকিলে possible.
বরদা— ভূত নাই?
সারদা— তা ঠিক বলিতেছি না, তবে প্রমাণ নাই বলিয়া ভূতে বিশ্বাস নাই, ইহাই বলিয়াছি।
বরদা— প্রত্যক্ষ কি প্রমাণ নহে?
সারদা— আমি কখনও ভূত প্রত্যক্ষ করি নাই।
বরদা— টেমস নদী প্রত্যক্ষ করিয়াছ?
সারদা— না।
বরদা— টেমস নদী আছে মানো?
সারদা— যাহাদের কথায় বিশ্বাস করা যায়, এমন লোক প্রত্যক্ষ করিয়াছে।
বরদা— ভূতও এমন লোক প্রত্যক্ষ করিয়াছে।
সারদা— বিশ্বাসযোগ্য এমন কে? একজনের নাম করো দেখি?
বরদা— মনে কর আমি। এই কথা বলিতে বরদার মুখ কালো হইয়া গেল, শরীর রোমাঞ্চিত হইল।
সারদা— তুমি?
বরদা— তা হইলে বিশ্বাস করো।
সারদা— তুমি একটু imaginative, একটু sentimental— রজ্জুকে সর্পভ্রম হইতে পারে।
বরদা— তুমি দেখিবে?
সারদা— দেখিব না কেন?
বরদা— আচ্ছা তবে আহার সমাপ্ত করা যাউক।’
এই অসমাপ্ত কাহিনীর বরদা অবশ্যই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। শেষজীবনে উপনীত হয়ে তিনি মধ্য বয়েসে কর্মোপলক্ষে কাঁথির কাছে একটি এলাকায় গিয়ে যাঁকে দর্শন করেছিলেন সেই গল্পই কী সারদার কাছে বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মৃত্যু তাঁকে সেই কাহিনী শেষ করার সুযোগ দেয়নি। জীবনের বুক থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছিল।
সেই রাতে জমিদারবাড়ির অতিথিশালায় সাহিত্যসম্রাট কাকে দর্শন করেছিলেন, কী ঘটেছিল সেই রাতে!
১৮৬০ সালের কথা, তখনও বঙ্কিমচন্দ্র ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস লেখার কাজে হাত দেননি। এই উপন্যাসটি প্রথম পুস্তকাকারে আমাদের হাতে আসে ১৮৬৬ সালে।
১৮৬০ সালের সেই সকালে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর দুই সহকারীকে নিয়ে কোনও এক সরকারি কাজে নিকটবর্তী শহরের উদ্দেশে রওনা হলেন। বঙ্কিমবাবু জানতেন, তাঁদের কাজ সারতে সারতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। রাতে কোনওমতেই ফেরা সম্ভব হবে না। তাই তাঁরা সেই শহরে পৌঁছেই স্থানীয় জমিদারমশাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। সেই জমিদার অতি সানন্দে তাঁর অতিথিশালায় সপার্ষদ বঙ্কিমচন্দ্রের থাকার বন্দোবস্ত করলেন।
কাজ সেরে বঙ্কিমচন্দ্র যখন সেই অতিথিশালায় ফিরলেন তখন বেশ রাত হয়ে গেছে। তিনি ঘরে ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তাঁর সঙ্গে যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা পাশের একটি ঘরে তখন বিশ্রাম করছেন।
অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। রাত আরও গভীর হচ্ছে। কাজে মগ্ন বঙ্কিমচন্দ্র হঠাৎই চমকে উঠলেন। দেখলেন তাঁর ঘরে শুভ্র বসনে আবৃতা এক রমণী ধীর পদক্ষেপে প্রবেশ করছেন।
বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন, জমিদারবাড়ির কোনও দাসী তাঁকে খাওয়ার জন্য ডাকতে এসেছেন।
বঙ্কিমচন্দ্র সেই মহিলার দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন, খাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে বোধহয়?
মহিলা সেই কথার কোনও উত্তর দিলেন না। বরঞ্চ বঙ্কিমচন্দ্রের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।
বঙ্কিমচন্দ্রের কাছে ব্যাপারটা খুব অস্বাভাবিক মনে হয়েছিল। তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে তীব্র কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন— আপনি কে? আমার কাছে কী চান?
এবারও কোনও উত্তর নেই। মহিলার এহেন আচরণে বঙ্কিমচন্দ্র খুব রেগে গেলেন। তিনি মহিলার দিকে কিছুটা এগতেই সেই মূর্তি ধীরে ধীরে পিছু হটতে শুরু করল। বঙ্কিমচন্দ্র আরও খানিকটা এগিয়ে ঘরের বাইরে বেরতেই সেই মহিলা নেমে পড়লেন প্রশস্ত উঠোনে। তারপর সাহিত্যসম্রাটের চোখের সামনে তিনি মিলিয়ে গেলেন শূন্যে।
এই দৃশ্য দেখে মোটেই ভয় পাননি বঙ্কিমচন্দ্র। নির্ভীক চিত্ত বঙ্কিম, বিজ্ঞানমনস্ক বঙ্কিম কেবলমাত্র স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর তিনি ঘরে ফিরে তাঁর সহকর্মীদের ডেকে বললেন, তল্পিতল্পা বাঁধো। আমরা আর একমুহূর্ত এই বাড়িতে থাকব না। বিস্মিত সহকর্মীরা জিনিসপত্র নিয়ে নেমে এলেন রাস্তায়। রাতের নির্জনতাকে কম্পিত করে তাঁদের ঘোড়ার গাড়ি ছুটে চলল ফিরতি পথে।
(ক্রমশ) 
12th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

চিন্তাপূর্ণী দেবী, পর্ব-১১

গাড়োয়াল হিমালয় ও সংলগ্ন হিমাচল প্রদেশে চিন্তাপূর্ণী দেবীর মান্যতা খুব। কেননা ইনিও নয় দেবীর এক অন্যতমা মহাদেবী। জ্বালামুখী ও কাংড়ার খুব কাছেই চিন্তাপূর্ণী দেবীর স্থান। নগরকোট কাংড়া থেকে চিন্তাপূর্ণীর দূরত্ব ৫০ কিমির মতো।  
বিশদ

12th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

১০
ফেরার পথে আর হেঁটে নয়, গাড়িতে করেই বাড়ি ফিরে এলেন দুই বন্ধু। তারপর নিস্তেজ নার্ভকে সতেজ করার জন্য দু কাপ গরম পানীয় নিয়ে তাঁরা মুখোমুখি বসলেন। তখনও তাঁদের ঘোর পুরোপুরি কাটেনি।  
বিশদ

05th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

জ্বালামুখী, পর্ব-১০

হিঙ্গুলায়া মহাস্থানং জ্বালা মুখ্যাস্তথৈব চ। একান্ন সতীপীঠের অন্তর্গত এই জ্বালামুখীতে আমি প্রথম গিয়েছিলাম তেইশ বছর বয়সে। তারপর তো বিভিন্ন সময়ে কয়েকবার।
এ যাত্রায় কাংড়া দুর্গ দেখার পর এখানে রাত্রিবাস না করে বাসস্ট্যান্ডে এসে পঁচিশ কিমি দূরে জ্বালামুখীতে পৌঁছলাম।
বিশদ

05th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়


পরবর্তী ডাকেই শিশিরকুমার তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় পুত্র পয়সকান্তির ছবি বন্ধুকে পাঠিয়ে দিলেন। সেই ছবির সঙ্গে তিনি একটা চিঠিও পাঠালেন। তিনি তাঁর বন্ধুকে লিখেছিলেন, আপনার কথামতো আমি ছবিটা পাঠালাম। 
বিশদ

28th  April, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

নগরকোট কাংড়া, পর্ব-৯
চামুণ্ডা নন্দীকেশ্বর থেকে এবারের দর্শন নগরকোট কাংড়ায়। পথের দূরত্ব মাত্র পঁচিশ কিমি। এ পথে আমি বেশ কয়েকবার এসেছি। প্রথম এসেছি ১৯৬৪ সালে। আমার রাত্রিবাসের স্থল আরও পঁচিশ কিমি দূরে জ্বালামুখীতে। 
বিশদ

28th  April, 2019
 ডেডলাইন
সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়

একটা অজানা-অচেনা স্টেশনে নেমে পড়ে এইভাবে একটা চায়ের দোকানে ঢুকে পড়া কতটা ঠিক হল কে জানে। ঐত্রেয়ী অন্তত সেই কথাই ভাবছে। এইখানে চিনি ছাড়া লাল চা পাওয়ার জাস্ট কোনও চান্স নেই। সুতরাং একটা দুধ চা-ই বলেছে। দোকানি দিদি আঁচল দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করে গেছেন আর কিছু সে খাবে কিনা।
বিশদ

21st  April, 2019
পূণ্য ভূমির পূণ্য ধূলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

জম্মুতে দু’ একটা দিন বিশ্রাম নেওয়ার পর হাতে যদি সময় থাকে তাহলে কলকাতায় না ফিরে আরও এক দেবীতীর্থে অনায়াসেই যাওয়া যেতে পারে। সেই তীর্থভূমি হল চামুণ্ডা ক্ষেত্র। ইনিও হিমালয়ের নয় দেবীর এক অন্যতমা দেবী।
বিশদ

21st  April, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

মৃত ভাইয়ের আত্মার সঙ্গে কথা বলে শিশিরকুমারের বিক্ষুব্ধ মন কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছিল এবং এইসময় থেকেই তিনি আরও প্রবল ভাবে মেতে উঠলেন প্রেতচর্চা ও ঈশ্বরের উপাসনায়। আর তখনকার পরিবেশ এবং পরিস্থিতি ছিল প্রেতচর্চার পক্ষে খুবই অনুকূল।
বিশদ

21st  April, 2019
ভাসানের পরে
মৃত্তিকা মাইতি

অশ্রু বসে আছে দুর্গা ঠাকুরের পায়ের কাছে। ফুল-মালাগুলো গুছিয়ে কাঁড়ি করা। পুজো শেষ। আজ ভাসান। একটু পরেই বরণ শুরু হবে। পাড়ার বউরা বরণডালা হাতে অপেক্ষা করছে রুম্পাদের উঠোনে। এটা তাদেরই বাড়ির পুজো। রুম্পার মা আর কাকির বরণ সারা হলে তবেই বাকিরা করতে পারবে।
বিশদ

14th  April, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

এবারে যাওয়া যাক মাতা বৈষ্ণোদেবীর দরবারে। ইনি হলেন হিমালয়ের প্রসিদ্ধ নয় দেবীর অন্যতমা। হাওড়া শিয়ালদহ বা কলকাতা স্টেশন থেকে জম্মু যাওয়ার ট্রেনের অভাব নেই। জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস বা হিমগিরি এক্সপ্রেস অনেকেরই খুব পছন্দের ট্রেন। বিশদ

14th  April, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 মহাত্মা শিশিরকুমার ঘোষ। ১৮৪০ সালে যশোর জেলার মাগুরা (অমৃতবাজার) গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা কলুটোলা ব্রাঞ্চ স্কুল (বর্তমান হেয়ার স্কুল) থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কিছুকাল প্রেসিডেন্সি কলেজেও পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি আবার ফিরে যান নিজের গ্রাম পুলুয়ামাগুরায়।
বিশদ

14th  April, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা।
বিশদ

07th  April, 2019
বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

—গীতা তো আমার চেয়েও তোমার বেশি বন্ধু। স্কুটারের পিছনে বসিয়ে ব্যাঙ্কে নিয়ে যাও—
—গীতা বলেছে বুঝি? গোপন কথাটি গোপন না থাকায় ফুঁসে উঠেছিল দীনবন্ধু— স্ট্যান্ডে একটাও রিকশ ছিল না। নিজেই যেচে এসে দু’কাঁধ ধরে পিছনে ঝুলে পড়ল।  বিশদ

07th  April, 2019
মিষ্টান্ন বিভ্রাট
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

 একদিন কী মনে হল—লিপিকা রান্নাঘরে জমে থাকা রসগোল্লাগুলো একটা সাদা পলিথিনে ভরে বাজারের দিকে রওনা দিল। ভাবল রাস্তায় কোনও ভিখিরির দেখা পেলে মিষ্টিকটা দিয়ে দেবে।
বিশদ

31st  March, 2019
একনজরে
 দেওঘর (ঝাড়খণ্ড) ও পালিগঞ্জ (বিহার), ১৫ মে (পিটিআই): বুধবার বিহার ও ঝাড়খণ্ডের জোড়া জনসভা থেকে বিরোধীদের তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে তীব্র কটাক্ষ করলেন কংগ্রেসকে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয় নিশ্চিত। ...

  বিএনএ, বর্ধমান: স্ট্রংরুম পরিদর্শনে গিয়ে লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের এজেন্টরা তার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবেন না। প্রার্থীদের এজেন্টরা পরিচয়পত্র নিয়ে নিয়মিত স্ট্রংরুম ভিজিটে যান। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, প্রেমিসেস থেকে বেশকিছুটা দূরে একটি ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। ...

বীরেশ্বর বেরা, কলকাতা: বালিগঞ্জ ফার্ন রোডের অভিজাত এলাকায় সাদা রঙের দোতলা বাড়ির বাসিন্দা মিতা চক্রবর্তী। এবার তিনি কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়ালেও ...

 সংবাদদাতা, মালবাজার: ফুল ঝাড়ুকেই এখন প্রধান অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে বেছে নিয়েছেন কালিম্পং জেলার গোরুবাথান ব্লকের সামসিং ফরেস্ট কম্পাউন্ড বস্তির কয়েকশ চাষি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সকলেই এখন ঝাড়ুকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। কারণ ঝাড়ু ফলিয়ে তাঁরা এখন বেশি লাভের মুখ দেখছেন। একবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনির জন্ম
১৯৭৫: প্রথম মহিলা হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন জুঙ্কো তাবেই
১৯৭৮: অ্যাথলিট সোমা বিশ্বাসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৪৯ টাকা ৭১.১৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৮১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৮/৮ দিবা ৮/১৬। চিত্রা ৫৮/১০ রাত্রি ৪/১৬। সূ উ ৫/০/৮, অ ৬/৫/৪৪, অমৃতযোগ দিবা ৩/২৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৫/৩২/৪৭ দিবা ৭/১৩/২৬। চিত্রানক্ষত্র ৫৭/১১/১৩ রাত্রি ৩/৫২/৪৮, সূ উ ৫/০/১৯, অ ৬/৭/১৫, অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৪ গতে ৬/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ২/৪ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/০ মধ্যে, বারবেলা ৪/২৮/৫৩ গতে ৬/৭/১৫ মধ্যে, কালবেলা ২/৫০/৩১ গতে ৪/২৮/৫৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৩৩/৪৭ গতে ১২/৫৫/২৫ মধ্যে।
১০ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: উচ্চশিক্ষায় সাফল্য। বৃষ: উচ্চপদস্থ ব্যক্তির আনুকূল্যে কর্মক্ষেত্রে প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা ...বিশদ

07:03:20 PM

ঝড়-বৃষ্টিতে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ডুবল জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ি শহরের বিস্তীর্ন অংশ ডুবে রয়েছে অন্ধকারে। সন্ধ্যা থেকে ঝড়-বৃষ্টির ...বিশদ

08:10:08 PM

ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

07:27:00 PM

বিমান সংস্থার উপর চটলেন শ্রেয়া
বিমানে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয় সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালকে। ...বিশদ

06:21:47 PM

ভোটের দিন গরম বাড়বে
উত্তর বঙ্গের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভোটের দিন কিন্তু ...বিশদ

06:10:39 PM