Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়


পরবর্তী ডাকেই শিশিরকুমার তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় পুত্র পয়সকান্তির ছবি বন্ধুকে পাঠিয়ে দিলেন। সেই ছবির সঙ্গে তিনি একটা চিঠিও পাঠালেন। তিনি তাঁর বন্ধুকে লিখেছিলেন, আপনার কথামতো আমি ছবিটা পাঠালাম। আপনি এই ছবিটা বাইরের কাউকে দেখাবেন না। বিশেষ করে ব্যাঙ্কস ভগ্নীদ্বয়কে। তাঁদের ছবি আঁকা শেষ হলে আপনি আমার পুত্রের ছবির সঙ্গে তাঁদের আঁকা ছবিটা মিলিয়ে নেবেন। আশা করি আপনি আমার এই ছোট্ট অনুরোধটা রাখবেন।
ছবি হাতে পাওয়ার পর মহাত্মার বন্ধু তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সবকথা জানিয়ে বললেন, আগামী রবিবার তুমি কী ভাই আমার সঙ্গে ব্যাঙ্কস ভগ্নীদের বাড়িতে যাবে? সেই বন্ধুও এইসব ব্যাপারগুলিকে বুজরুকি বলে মনে করতেন। তিনি বললেন, রবিবার সকালে আমি তোমার জন্য কোনও কাজ রাখব না। আমি তোমার সঙ্গে যাব। আমরা দুজনে মিলে দুই বোনের সমস্ত ভন্ডামি, বুজরুকি ফাঁস করে দেব। তবে আমরা যে আগামী রবিবার যাব একথা তাঁদের আগে থেকে জানিও না। আমরা আচমকা তাঁদের বাড়িতে উপস্থিত হব।
মহাত্মার বিদেশি বন্ধু বললেন, ঠিক আছে আমরা আগাম কোনও খবর না দিয়েই আগামী রবিবার সকালে তাঁদের বাড়ি যাব। তুমি সকাল ন’টা নাগাদ আমার বাড়িতে চলে এসো। আমার বাড়ি থেকে খুব কাছেই তাঁদের বাড়ি। আমরা গল্প করতে করতে চলে যাব।
রবিবার দিন দু’জনে একসঙ্গে প্রাতঃরাশ সেরে রাস্তায় নামলেন। চমৎকার, মনোরম এক সকাল। মিনিট পনেরোর মধ্যে তাঁরা পৌঁছে গেলেন ব্যাঙ্কস পরিবারের বাড়িতে। সেদিন অবশ্য দুই বোনের একজনই বাড়িতে ছিলেন। যিনি বাড়িতে ছিলেন তিনিই দরজা খুলে তাঁদের কাছে আসার কারণটা জানতে চাইলেন। মহাত্মার বন্ধু বললেন, আমার ভারতবর্ষের এক বন্ধুর পুত্র সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর অনুরোধেই আজ আমরা আপনার বাড়িতে এসেছি। আমার ভারতীয় বন্ধুর খুব ইচ্ছা আপনারা দুই বোন মিলে তাঁর পুত্রের একটা ছবি এঁকে দেবেন। কারণ তাঁর কাছে সেই মৃত পুত্রের কোনও ছবি নেই।
মহিলা বললেন, আমার অপর বোন এখন বাড়িতে নেই। তাছাড়া আপনাদের আসতে আর কিছুক্ষণ দেরি হলে আমিও বিশেষ একটা কাজে বেরিয়ে যেতাম। আপনাদের উচিত ছিল একটা খবর দিয়ে আসা। তবে এসেই যখন পড়েছেন তখন আসুন আমিই ছবিটা এঁকে দেব।
মহাত্মার বন্ধু বললেন, শুনেছি আপনারা একসঙ্গে ছবি আঁকেন?
মহিলা মৃদু হেসে বললেন, কথা না বাড়িয়ে আপনারা আসুন আমার সঙ্গে।
ভদ্রমহিলা দুই বন্ধুকে নিয়ে একটা মাঝারি মাপের ঘরে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করে দিলেন। ঘরে গোটাতিনেক জানলা থাকলেও একটি বাদে সবগুলোই বন্ধ ছিল। দুই বন্ধুর দেখে মনে হয়েছিল বাকি দুটি জানলা বহুকাল খোলা হয়নি। তবে উন্মুক্ত জানলাটি দিয়ে চমৎকার রোদ খেলে বেড়াচ্ছিল ঘরের মধ্যে। আর সেই জানলার সামনে দাঁড় করান ছিল একটি ইজেল। ঘরে আসবাব বলতে ছিল একটি সোফা ও ছোট্ট একটা চৌকি। তার উচ্চতা খুব একটা বেশি নয়।
দুই বন্ধুকে সেই সোফায় বসতে অনুরোধ করে মহিলা বললেন, আমি কী আমার নিজস্ব ক্যানভাসে ছবি আঁকব, না আপনারা সঙ্গে ক্যানভাস এনেছেন!
মহাত্মার বন্ধু বললেন, আমরা সঙ্গে ক্যানভাস এনেছি, আপনি আমাদের ক্যানভাসেই ছবি আঁকবেন।
সঙ্গে আনা প্যাকেট থেকে ক্যানভাসটি বের করে মহিলার হাতে দেওয়া মাত্র তিনি সেটি ইজেলে চাপিয়ে বললেন, এবার আমি কাজ শুরু করব। মিনিট কুড়ি সময় লাগবে। আমি যখন কাজ করব, তখন আপনারা সোফা ছেড়ে একদম উঠবেন না বা কোনও কথাও বলবেন না। আর আমি যাঁর ছবি আঁকতে যাচ্ছি তাঁর নামটা আপনারা কী আমাকে জানাবেন!
মহাত্মার বন্ধু বললেন, মৃত ব্যক্তির নাম পয়সকান্তি ঘোষ। পিতার নাম শিশিরকুমার ঘোষ।
ভদ্রমহিলা বললেন ঠিক আছে। কিন্তু আমি যা বললাম তা দয়া করে মাথায় রাখবেন। কথা শেষ করেই তিনি ইজেলের উল্টোদিকে রাখা ছোট চৌকিটির ওপর পদ্মাসনে বসে ধ্যানস্থ হলেন। মিনিট দশেক এইভাবে কাটার পর মহিলা হঠাৎই অস্ফুট স্বরে কথা বলতে শুরু করলেন— আমি এক যুবককে দেখতে পাচ্ছি, বয়স পঁচিশ বা ছাব্বিশ, তার বেশি নয়। এরপর তিনি অদেখা মৃত যুবকের হুবহু চেহারার বর্ণনা দিতে শুরু করলেন।
মহিলার কথা শুনে চমকে উঠেছিলেন শিশিরকুমারের বন্ধু। কারণ তিনি পয়সকান্তির ছবি আগেই দেখেছেন। মহিলা যে পয়সকান্তির কথাই বলছেন তা বুঝতে তাঁর এতটুকু দেরি হল না। তিনি খুব বিস্মিত হলেও মহিলার কথামতো সোফায় চুপ করে বসে রইলেন।
বর্ণনা শেষ করেই ভদ্রমহিলা আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে ধীর পদক্ষেপে এসে দাঁড়ালেন ক্যানভাসের সামনে। খুব ক্লান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,ওই যুবক যখন পৃথিবীতে আমাদের মাঝে ছিলেন তখনকার ছবি আঁকব, না এখন যেখানে তিনি আছেন সেই ছবি!
মহাত্মার বন্ধু কথাটা শুনে বেশ অবাক হলেন। তিনি বললেন, না, আপনি জীবিত অবস্থার ছবি আঁকুন।
ভদ্রমহিল তাঁর কথার কোনও উত্তর দিলেন না, ধীরে ধীরে ডানহাতটি তুলে মেলে ধরলেন ক্যানভাসের বুকে। তারপর স্থির চোখে তাকিয়ে রইলেন সেদিকে।
এরপরই ঘটল এক অদ্ভুত ঘটনা। হঠাৎই খোলা জানলা দিয়ে একরাশ কুয়াশা বা সাদা ধোঁয়া ঘরে প্রবেশ করে মহিলা ও ক্যানভাসটিকে প্রায় ঢেকে দিল।
এই দৃশ্য দেখে দুই বন্ধু বেজায় ঘাবড়ে গেলেন। বলা যেতে পারে ভয়ও পেয়েছিলেন। কোথা থেকে এত ধোঁয়া এল! কিন্তু তাঁদের জন্য আরও বিস্ময় তখনও অপেক্ষা করে ছিল। যেমনভাবে হঠাৎই ঘরের মধ্যে ধোঁয়া প্রবেশ করিছিল ঠিক সেইভাবেই ধোঁয়ার কুণ্ডলী মিলিয়ে গেল শূন্যে। আর তারপর! সেই সাদা ক্যানভাসের বুকে ধীরে ধীরে ফুটে উঠতে শুরু করল একটা অবয়ব। চোখ, নাক, কান, ঠোঁট। কিন্তু হঠাৎই সেই অবয়ব আবার কোথায় মিলিয়ে গেল। ক্যানভাস তখন আবার শূন্য। কয়েক মুহূর্ত বাদে আবার সেই অবয়ব ফিরে এল ক্যানভাসের বুকে। দৃশ্য- অদৃশ্যের খেলা বেশ কিছুক্ষণ চলার পর অবশেষে ক্যানভাসের বুকে ফুটে উঠল পয়সকান্তির ছবি। এরপর ভদ্রমহিলা খুব ক্ষীণ স্বরে বলে উঠলেন ছবি আঁকা শেষ হয়েছে। আপনারা এবার এটা নিতে পারেন। দুই বন্ধু কোনওরকমে ইজেল থেকে ক্যানভাসটি মুক্ত করে নেমে এলেন রাজপথে।
তখনও তাঁদের শরীরের কাঁপুনি পুরোপুরি থামেনি।
(ক্রমশ) 
28th  April, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১১

‘নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী’— সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত এক কাহিনী। এই লেখাটি তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। লেখাটি শুরু করে বেশ কিছুটা এগবার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।  
বিশদ

12th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

চিন্তাপূর্ণী দেবী, পর্ব-১১

গাড়োয়াল হিমালয় ও সংলগ্ন হিমাচল প্রদেশে চিন্তাপূর্ণী দেবীর মান্যতা খুব। কেননা ইনিও নয় দেবীর এক অন্যতমা মহাদেবী। জ্বালামুখী ও কাংড়ার খুব কাছেই চিন্তাপূর্ণী দেবীর স্থান। নগরকোট কাংড়া থেকে চিন্তাপূর্ণীর দূরত্ব ৫০ কিমির মতো।  
বিশদ

12th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

১০
ফেরার পথে আর হেঁটে নয়, গাড়িতে করেই বাড়ি ফিরে এলেন দুই বন্ধু। তারপর নিস্তেজ নার্ভকে সতেজ করার জন্য দু কাপ গরম পানীয় নিয়ে তাঁরা মুখোমুখি বসলেন। তখনও তাঁদের ঘোর পুরোপুরি কাটেনি।  
বিশদ

05th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

জ্বালামুখী, পর্ব-১০

হিঙ্গুলায়া মহাস্থানং জ্বালা মুখ্যাস্তথৈব চ। একান্ন সতীপীঠের অন্তর্গত এই জ্বালামুখীতে আমি প্রথম গিয়েছিলাম তেইশ বছর বয়সে। তারপর তো বিভিন্ন সময়ে কয়েকবার।
এ যাত্রায় কাংড়া দুর্গ দেখার পর এখানে রাত্রিবাস না করে বাসস্ট্যান্ডে এসে পঁচিশ কিমি দূরে জ্বালামুখীতে পৌঁছলাম।
বিশদ

05th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

নগরকোট কাংড়া, পর্ব-৯
চামুণ্ডা নন্দীকেশ্বর থেকে এবারের দর্শন নগরকোট কাংড়ায়। পথের দূরত্ব মাত্র পঁচিশ কিমি। এ পথে আমি বেশ কয়েকবার এসেছি। প্রথম এসেছি ১৯৬৪ সালে। আমার রাত্রিবাসের স্থল আরও পঁচিশ কিমি দূরে জ্বালামুখীতে। 
বিশদ

28th  April, 2019
 ডেডলাইন
সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়

একটা অজানা-অচেনা স্টেশনে নেমে পড়ে এইভাবে একটা চায়ের দোকানে ঢুকে পড়া কতটা ঠিক হল কে জানে। ঐত্রেয়ী অন্তত সেই কথাই ভাবছে। এইখানে চিনি ছাড়া লাল চা পাওয়ার জাস্ট কোনও চান্স নেই। সুতরাং একটা দুধ চা-ই বলেছে। দোকানি দিদি আঁচল দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করে গেছেন আর কিছু সে খাবে কিনা।
বিশদ

21st  April, 2019
পূণ্য ভূমির পূণ্য ধূলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

জম্মুতে দু’ একটা দিন বিশ্রাম নেওয়ার পর হাতে যদি সময় থাকে তাহলে কলকাতায় না ফিরে আরও এক দেবীতীর্থে অনায়াসেই যাওয়া যেতে পারে। সেই তীর্থভূমি হল চামুণ্ডা ক্ষেত্র। ইনিও হিমালয়ের নয় দেবীর এক অন্যতমা দেবী।
বিশদ

21st  April, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

মৃত ভাইয়ের আত্মার সঙ্গে কথা বলে শিশিরকুমারের বিক্ষুব্ধ মন কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছিল এবং এইসময় থেকেই তিনি আরও প্রবল ভাবে মেতে উঠলেন প্রেতচর্চা ও ঈশ্বরের উপাসনায়। আর তখনকার পরিবেশ এবং পরিস্থিতি ছিল প্রেতচর্চার পক্ষে খুবই অনুকূল।
বিশদ

21st  April, 2019
ভাসানের পরে
মৃত্তিকা মাইতি

অশ্রু বসে আছে দুর্গা ঠাকুরের পায়ের কাছে। ফুল-মালাগুলো গুছিয়ে কাঁড়ি করা। পুজো শেষ। আজ ভাসান। একটু পরেই বরণ শুরু হবে। পাড়ার বউরা বরণডালা হাতে অপেক্ষা করছে রুম্পাদের উঠোনে। এটা তাদেরই বাড়ির পুজো। রুম্পার মা আর কাকির বরণ সারা হলে তবেই বাকিরা করতে পারবে।
বিশদ

14th  April, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

এবারে যাওয়া যাক মাতা বৈষ্ণোদেবীর দরবারে। ইনি হলেন হিমালয়ের প্রসিদ্ধ নয় দেবীর অন্যতমা। হাওড়া শিয়ালদহ বা কলকাতা স্টেশন থেকে জম্মু যাওয়ার ট্রেনের অভাব নেই। জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস বা হিমগিরি এক্সপ্রেস অনেকেরই খুব পছন্দের ট্রেন। বিশদ

14th  April, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 মহাত্মা শিশিরকুমার ঘোষ। ১৮৪০ সালে যশোর জেলার মাগুরা (অমৃতবাজার) গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা কলুটোলা ব্রাঞ্চ স্কুল (বর্তমান হেয়ার স্কুল) থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কিছুকাল প্রেসিডেন্সি কলেজেও পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি আবার ফিরে যান নিজের গ্রাম পুলুয়ামাগুরায়।
বিশদ

14th  April, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা।
বিশদ

07th  April, 2019
বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

—গীতা তো আমার চেয়েও তোমার বেশি বন্ধু। স্কুটারের পিছনে বসিয়ে ব্যাঙ্কে নিয়ে যাও—
—গীতা বলেছে বুঝি? গোপন কথাটি গোপন না থাকায় ফুঁসে উঠেছিল দীনবন্ধু— স্ট্যান্ডে একটাও রিকশ ছিল না। নিজেই যেচে এসে দু’কাঁধ ধরে পিছনে ঝুলে পড়ল।  বিশদ

07th  April, 2019
মিষ্টান্ন বিভ্রাট
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

 একদিন কী মনে হল—লিপিকা রান্নাঘরে জমে থাকা রসগোল্লাগুলো একটা সাদা পলিথিনে ভরে বাজারের দিকে রওনা দিল। ভাবল রাস্তায় কোনও ভিখিরির দেখা পেলে মিষ্টিকটা দিয়ে দেবে।
বিশদ

31st  March, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ১৫ মে (পিটিআই): ষষ্ঠ দফা ভোটের মধ্যেই বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ফেলেছে। সপ্তম দফার ভোট সম্পন্ন হলে বিজেপির আসন ৩০০ অতিক্রম করে যাবে। বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ...

বীরেশ্বর বেরা, কলকাতা: বালিগঞ্জ ফার্ন রোডের অভিজাত এলাকায় সাদা রঙের দোতলা বাড়ির বাসিন্দা মিতা চক্রবর্তী। এবার তিনি কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়ালেও ...

 সংবাদদাতা, মালবাজার: ফুল ঝাড়ুকেই এখন প্রধান অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে বেছে নিয়েছেন কালিম্পং জেলার গোরুবাথান ব্লকের সামসিং ফরেস্ট কম্পাউন্ড বস্তির কয়েকশ চাষি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সকলেই এখন ঝাড়ুকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। কারণ ঝাড়ু ফলিয়ে তাঁরা এখন বেশি লাভের মুখ দেখছেন। একবার ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনির জন্ম
১৯৭৫: প্রথম মহিলা হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন জুঙ্কো তাবেই
১৯৭৮: অ্যাথলিট সোমা বিশ্বাসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৪৯ টাকা ৭১.১৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৮১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৮/৮ দিবা ৮/১৬। চিত্রা ৫৮/১০ রাত্রি ৪/১৬। সূ উ ৫/০/৮, অ ৬/৫/৪৪, অমৃতযোগ দিবা ৩/২৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৫/৩২/৪৭ দিবা ৭/১৩/২৬। চিত্রানক্ষত্র ৫৭/১১/১৩ রাত্রি ৩/৫২/৪৮, সূ উ ৫/০/১৯, অ ৬/৭/১৫, অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৪ গতে ৬/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ২/৪ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/০ মধ্যে, বারবেলা ৪/২৮/৫৩ গতে ৬/৭/১৫ মধ্যে, কালবেলা ২/৫০/৩১ গতে ৪/২৮/৫৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৩৩/৪৭ গতে ১২/৫৫/২৫ মধ্যে।
১০ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: উচ্চশিক্ষায় সাফল্য। বৃষ: উচ্চপদস্থ ব্যক্তির আনুকূল্যে কর্মক্ষেত্রে প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা ...বিশদ

07:03:20 PM

ঝড়-বৃষ্টিতে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ডুবল জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ি শহরের বিস্তীর্ন অংশ ডুবে রয়েছে অন্ধকারে। সন্ধ্যা থেকে ঝড়-বৃষ্টির ...বিশদ

08:10:08 PM

ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

07:27:00 PM

বিমান সংস্থার উপর চটলেন শ্রেয়া
বিমানে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয় সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালকে। ...বিশদ

06:21:47 PM

ভোটের দিন গরম বাড়বে
উত্তর বঙ্গের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভোটের দিন কিন্তু ...বিশদ

06:10:39 PM