ম্যাঞ্চেস্টার, ১১ জুলাই: রহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ও দীনেশ কার্তিক। বুধবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে এই তিন ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন নিউজিল্যান্ডের পেস বোলার ম্যাট হেনরি। দিনের শেষে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান, ১০-১-৩৭-৩। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হেনরির দুরন্ত বোলিংই বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনাল থেকে ছিটকে দিয়েছে বিরাট কোহলিদের। ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবেই তৃপ্তির হাসি ছিল হেনরির মুখে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই ভারতকে চাপে ফেলা ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ওদের ব্যাটিং লাইন-আপের গভীরতা যথেষ্ট। ওপেনিং জুটিও এই বিশ্বকাপে সাফল্য পেয়েছে। তাই ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রহিত শর্মাকে আউট করে আনন্দ পেয়েছি। সেমি-ফাইনাল ম্যাচে সবসময়েই স্নায়ুর চাপ থাকে। ২৩৯ রানে আমাদের ইনিংস শেষ হলেও কেউই ঘাবড়ে যাইনি। জানতাম, শুরুতেই বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পারলে ভারত বিপদে পড়বে। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন হাতে বল তুলে দেওয়ার পর নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছি। পরপর দু’বার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা মুখের কথা নয়। দলগত সংহতি এবং ক্লান্তিহীন পরিশ্রমের ফসল পেয়েছি আমরা। তবে ফেভারিট ভারতকে হারিয়েই থেমে থাকতে চাই না। ফাইনালে ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়া, যে দলই উঠুক না কেন আমরা সেরা পারফরম্যান্স মেলে দেওয়ার জন্য তৈরি। গতবার অল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। এবার সেই আক্ষেপ ঘোচাতে প্রত্যেকে বদ্ধপরিকর। ফাইনালে অল-রাউন্ড পারফরম্যান্স মেলে ধরতে হবে। ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাটিং, বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও আমরা অনবদ্য ছিলাম। যে অনায়াস দক্ষতায় মার্টিন গাপটিল রান আউট করেছে ধোনিকে তারজন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।’
ম্যাট হেনরির প্রশংসা করে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ, নতুন পিচ কীরকম আচরণ করবে তা আমরা কেউই জানতাম না। এছাড়া হেনরি-বোল্ট-স্যান্টনারদের উপর ভরসা ছিল। সেমি-ফাইনালের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বোলাররা দুরন্ত ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান রহিত শর্মা এবং নির্ভরযোগ্য লোকেশ রাহুলকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে জয়ের আশা জাগিয়েছে হেনরিই। নিখুঁত লাইন-লেংথ এবং গতির হেরফেরই ওর সম্পদ। ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন ও মিচেল স্যান্টনারও আঁটসাঁট বল করায় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা পরিকল্পিত পথে রান তুলতে পারেনি।’