পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
রাজ্যের মন্ত্রী তথা সাগরদিঘির প্রাক্তন বিধায়ক সুব্রত সাহার প্রয়াণের পর মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আরও এক বিধায়ককে মন্ত্রী করার দাবি উঠেছিল। কারণ ২২ বিধানসভার এই জেলায় একমাত্র রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক আখরুজ্জামান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০টিতে জেতে তৃণমূল। পরে সুব্রত সাহার মৃত্যুতে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে জয়ী হয় বাম-কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। কিন্তু তিনি পরে সদলবলে তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ২০ জন বিধায়ক থাকলেও রাজ্যের মন্ত্রিসভায় একমাত্র একজন প্রতিমন্ত্রী রয়েছে এই জেলার। তাই যারা বিধায়কদের মধ্যে অভিজ্ঞ, এমন একজনকে মন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে পারেন দলনেত্রী। আর এই দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তথা কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার (ডেভিড)। পরপর চারবারের বিধায়ক তিনি। ২০১১ সাল এবং ২০১৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করেন তিনি। তারপর ২০২১ সালে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। এবার ইউসুফের ভোটের ময়দানে অন্যতম সৈনিক এই পোড় খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এছাড়া ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখের উপরও নজর রেখেছে দল। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়ের ব্যাপারে তাঁদের পারফরমেন্স কেমন হয়, সেদিকে তাকিয়ে আছে রাজ্যে নেতৃত্ব। তবে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার ব্যাপারে দলের অন্দরে আলোচনা চললেও, প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ সকলে।
অপূর্ববাবু বলেন, দল যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে, সেই দায়িত্ব মাথা পেতে নিয়েছি। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা আমাকে নির্দেশ দেবেন, আগামীতেও একই ভাবে তা পালন করব। এখন আমাদের একটাই কাজ পাঠানকে জিতিয়ে সাংসদ বানানো।
বিজেপির বহরমপুরের সভাপতির শাখারভ সরকার বলেন, এটাকেই বলে নির্বাচনী গাজর। তৃণমূলের সব ক্ষেত্রেই লাগে ঘুষ। তাই মন্ত্রীত্বের টোপ দিয়ে নির্বাচনে ভালো করে খাটিয়ে নিচ্ছে দল। পাঠান জিততে পারবে না। তাই জেলা থেকে আর মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই।