পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
লড়াইটা যে সহজ নয় তা বুঝেছেন দিলীপবাবুও। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভা করে গিয়েছেন। আজ, সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্গাপুরে সভা করতে আসছেন। বিদায়ী সংসদ যেমন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে তেমনই শিল্পায়নের প্রতিশ্রুতিও বিজেপির কাছে ব্যুমেরাং হতে শুরু করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯সালে কারখানার ধোঁয়া ওড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়ে তারা বাজিমাত করেছিল। তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বর্ধমানে এসে নতুন করে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, দুর্গাপুর শিল্পতালুক হিসেবে শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে। কিন্তু কোন ফর্মুলায় তা সম্ভব হবে সেটা তিনি বলে যাননি। তাই এই কেন্দ্রে ভোটাররা ধরেই নিচ্ছেন ২০১৪ ও ’১৯ এর মতো এটাও একটা নিছকই প্রতিশ্রুতিমাত্র।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধুর মতো প্রকল্পগুলি তৃণমূলকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে। কৃষিনির্ভর বর্ধমান জেলায় কৃষকবন্ধু প্রকল্প ভোটে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে, সেটা মানছেন বিজেপি নেতারাও। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সারা রাজ্যেই সার্বিকভাবে প্রভাব ফেলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের হেভিওয়েট নেতাদের বারবার ছুটে আসতে হচ্ছে এই কেন্দ্রে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ অবশ্য তাঁর চেনা ভঙ্গিতে বলছেন, এই কেন্দ্রে আমরা জিতে গিয়েছি। সাংসদ কী কী কাজ করেছেন, তা তিনি প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়েছেন। এই কেন্দ্রে আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। ঐতিহাসিক বর্ধমান শহর উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে। এখানকার রাস্তাঘাট বেহাল। পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। ভোটে জেতার পর উন্নয়নমূলক কাজে জোর দেওয়া হবে।
তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ বলেন, উনি স্বপ্ন দেখছেন। যিনি মা-বোনেদের অপমান করেন তাঁর পরাজয় নিশ্চিত। বর্ধমান দুর্গাপুরে মানুষের অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। তাতে আমি জয়ের বিষয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, উন্নয়ন যেমন তৃণমূলকে এগিয়ে দিচ্ছে তেমনই গোষ্ঠীকোন্দল কিছুটা হলেও নেতৃত্বকে চাপে রেখেছে। শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, দ্বন্দ্ব মিটে গিয়েছে। এখন সবাই একসঙ্গে কাজ করছে। দলের প্রার্থীকে জেতানোই সবার একমাত্র টার্গেট হয়ে উঠেছে। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছেন। নিজের কেন্দ্র ছেড়ে এখানে এসে তাঁকে লড়তে হচ্ছে। যদিও তৃণমূল এই আসন জিতে গেরুয়া শিবিরকে যোগ্য জবাব দিতে চায়। তবে শেষ পর্যন্ত কে জয়ের ধ্বজা ওড়াবেন, তা ১৩ মে ইভিএমে চূড়ান্ত হয়ে যাবে।