আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
রাজ্যজু়ড়ে হুকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ঠেকাতে চেষ্টার কসুর করেন না বিদ্যুৎ কর্তারা। কিন্তু কোনও কিছুই তেমন কাজে লাগে না। উল্টে চুরির বহর দিন দিন বাড়ছে। বেশ কয়েক মাস হল এই পরিস্থিতিতে নতুন এক অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের সর্বত্র লো-টেনশন খোলা তার বদল করে সেখানে মোটা রবার দিয়ে মোড়া ইনসুলেটেড কেবল লাগানো হচ্ছে। এই কেবলের পোশাকি নাম ‘এরিয়াল বাঞ্চড কেবল’ বা এবিসি। এর বিশেষত্ব হল, বিদ্যুৎবাহী মূল তারে হুকিংয়ের তার লাগাতে গেলে মোটা রবারের আস্তরণ কাটতে হবে, যা একই সঙ্গে কঠিন এবং বেশ বিপজ্জনক। সোনাখালি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের অধীনও সমস্ত জায়গায় এবিসি তার লাগানোর কাজ চলছে। যেহেতু ঠিকাদার সংস্থাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই তার লাগানোর কাজ শেষ করতে হবে, তাই তারা প্রত্যেক দিন সকাল ৯টা থেকে স্থানীয় ট্রান্সফরমারে শাট-ডাউন করে দিয়ে বিদ্যুতের তার বদলানোর কাজ শুরু করছেন। সন্ধ্যে পর্যন্ত তাঁদের ওই কাজ চলছে। অন্যদিকে বিকট গরমে ওই সময়ে বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকার ফলে পরিবারগুলি যা অবস্থা, তা বলার মতো নয়। এলাকার মানুষ বলছেন, বিদ্যুৎ না থাকার ফলে পাখা-এসি চলে না। যাঁরা ইনডাকশনে রান্না করেন, তাঁদের বাড়িতে হাঁড়ি চড়ছে না। অনেকে পানীয় জল তুলতে পারছেন না। সেই সঙ্গে গরমে হিমশিম অবস্থা তো আছেই।কুল্টিকুরী গ্রামের বাসিন্দা তপন পাল, অনিল ঘোষ, শিক্ষক সৌমিত্র মণ্ডল প্রমুখ বলেন, আমরা ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের বলেছিলাম ঘণ্টা দুই কাজ করার পর এক ঘণ্টার জন্য লাইন ছাড়তে। তাহলে বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে নিতে পারতাম। কিন্তু তাঁরা আমাদের কথা শুনছেন না। এদিকে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, যখন যেদিকের লাইনটা খোলা হয়, সেই দিকটা পুরোটা কাজ সেরে নিতে হয়। মাঝে কাজ বন্ধ রেখে কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।