আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন দুর্গাপুর এড়িয়ে গেলেন অমিত শাহ? বিজেপি সূত্রে খবর, মোদি-শাহের গড় গুজরাতে এখন টালমাটাল দশা গেরুয়া শিবিরের। দলের পুরুষোত্তম রূপালা বেশ ঘোঁট পাকিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্যে চরম ক্ষুব্ধ ক্ষত্রিয় ও রাজপুতরা। গুজরাতে এই দুই সম্প্রদায়ের ভোট প্রায় ১৭ শতাংশ। এবারে হাইভোল্টেজ লোকসভা নির্বাচনে তাঁর বড় ফ্যাক্টর। সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই বাংলার কর্মসূচি কাটছাঁট করে তড়িঘড়ি গুজরাতে চলে যেতে হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই অবশ্য বলেন, আহমেদাবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কর্মসূচি ছিল। তাই দুর্গাপুরে তাঁর কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছে। ভোটের আগে দিলীপ দার প্রচারে তিনি ফের আসবেন।
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসন জয়ের তুলনায় বিজেপির কাছে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ গুজরাতে ভালো ফল করা। ৭ মে সে রাজ্যের ২৫ আসনে ভোট। তার আগে হঠাৎই বিগড়ে গিয়েছে ক্ষত্রিয় ও রাজপুত সমাজ। তাঁরা সম্মেলন করে বিজেপিকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার বার্তা দিয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সিআর প্যাটিল ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেও ব্যর্থ। তাই এবার বাধ্য হয়ে ময়দানে ছুটতে হয়েছে বিজেপির ‘চাণক্য’কে। তাই ব্রাত্যই থেকে গেল দুর্গাপুর ও দিলীপ ঘোষ।
সোমবারই অর্জুন রামমেঘওয়াল দুর্গাপুরের বিস্তীর্ণ অংশে রোড শো করেছেন। দশটি সুসজ্জিত টোটো, মন্ত্রীর সামনে বাজনা পার্টি। তাতেও তাঁকে দেখতে ভিড় দেখা যায়নি। দুর্গাপুরের কুডুরিয়াডাঙ্গাল এলাকায় সোমবার রাতে তাঁর রোড শেষ হয়। জনা তিরিশেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক ছাড়া কাউকেই তাঁর কাছে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। মোড়েই বসেছিলেন এক বৃদ্ধ। তিনি বলেন, লড়াই হবে তৃণমূল আর সিপিএমের মধ্যে। বিজেপি এখানে খুব একটা ফাইট দিতে পারবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, দুর্গাপুরবাসীর প্রতি প্রতারণা করেছে বিজেপি। ড্যামেজ কন্ট্রোল আর হবে না।