আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
এলাকার বাসিন্দাদের সুষ্ঠু যাতায়াতের কথা মাথায় রেখে ১৯৮০ সালে সেচদপ্তর ব্রিজটি তৈরি করেছিল। ব্রিজটির উপর দিয়ে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র, পাঁচরোল, সাহাড়া ছাড়াও জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশ আসা-যাওয়া করেন। এমনকী পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরের একাংশের বাসিন্দারাও ব্রিজটিকে ব্যবহার করেন। ওই রাস্তাটি দিয়ে মোহনপুরের দিক থেকে আসা পণ্যবাহী লরি এগরা সহ বিভিন্ন এলাকায় যায়। এই রাস্তায় কসবাগোলা-কলকাতা ও শীপুর-কলকাতা রুটের দু’টি বাস যাতায়াত করে। এছাড়া অন্যান্য যানবাহন তো রয়েছেই। রামচন্দ্রপুরে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মির্জাপুরে বাজার থাকায় প্রচুর মানুষের যাতায়াত রয়েছে। তাই সবদিক দিয়ে এই রাস্তা এবং ব্রিজটি গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও পুরনো ধাঁচের এই ব্রিজটি অন্যান্য ব্রিজগুলির থেকে আলাদা। খুবই সংকীর্ণ। দু’টি বড় গাড়ি একসঙ্গে পারাপার করতে পারে না। বর্তমানে ব্রিজটির জীর্ণ দশা। দু’দিকের গার্ডওয়াল কবেই ভেঙে গিয়েছে। থামগুলিরও নড়বড়ে অবস্থা। তা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত বহু যানবাহন ব্রিজের উপর যাতায়াত করে চলেছে। গার্ডওয়াল ভেঙে এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে, কোনও যানবাহন যদি নিয়ন্ত্রণ হারায়, তাহলে সোজা নীচে খালে পড়বে। বছর চারেক আগে ব্রিজটি নিয়ে কথা শুরু হয়। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, নতুন ব্রিজ তৈরি হবে। বিকল্প হিসেবে পাশে একটি কাঠের ব্রিজ তৈরি করা হয়। তার উপর দিয়ে ছোট যানবাহন যাতায়াত করে। কিন্তু নতুন কংক্রিকেটর ব্রিজ আর তৈরি হয়নি। এদিকে কাঠের ব্রিজটিও বেহাল হয়ে পড়েছে। পুরনো ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল প্রশাসনিকভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু বিকল্প কোনও উপায় না থাকায় প্রতিদিন বাস, লরি সহ অন্যান্য ভারী যানবাহন চলছেই।
স্থানীয় বাসিন্দা, সিপিএমের এগরা এরিয়া কমিটির সদস্য তপন প্রধান বলেন, আমরা নতুন ব্রিজ তৈরির দাবিকে সামনে রেখে এর আগে বিভিন্ন মহলে ডেপুটেশন দিয়েছি। অনেক আন্দোলন করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ব্রিজটির যা অবস্থা, তাতে যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তৃণমূল এতদিন ক্ষমতায় থেকেই কিছুই করতে পারল না। আমরা নির্বাচনী প্রচারে একথাই তুলে ধরছি। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক তন্ময় হাজরা বলেন, নতুন ব্রিজ তৈরি করতে তৃণমূল পুরোপুরি ব্যর্থ।
এতদিন শুধু আশ্বাস দিয়ে ভোট-বৈতরণী পার হয়ে এসেছে। এবারেও তাই করছে। এলাকার মানুষ বিজেপি প্রার্থীকে নির্বাচিত করলে এবিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এগরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমিয় রাজ বলেন, নতুন কংক্রিটের ব্রিজের ব্যাপারে একটি স্কিম তৈরি করে সেচদপ্তরের কাছে আগেই পাঠানো হয়েছিল। কয়েকমাস আগে বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি নতুন করে স্কিম পাঠিয়েছেন। আগামীদিনে নিশ্চয়ই রামচন্দ্রপুরে নতুন ব্রিজ তৈরি হবে।