আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
কাটোয়া মহকুমা কৃষিদপ্তরের আধিকারিক প্রলয় ঘোষ বলেন, নদীতে জল কম থাকায় কয়েকজন চাষ করছেন। তবে মাটির আল তৈরি করে জমি তৈরি করা হলে সেটা খুবই চিন্তার বিষয়। নজরদারি চালানো হবে।
বোরো চাষে প্রচুর জল লাগে। এখন অধিকাংশ এলাকার মাঠে সাবমার্সিবলে জল উঠছে না। কারণ জলস্তর নেমে যাচ্ছে। তাই জলের সমস্যায় বোরো চাষ করেন না বহু চাষি। জলের সমস্যাও মিটবে, আবার আয়ও হবে ভেবে কেতুগ্রামে অজয় নদের চর পড়ে যাওয়া অংশতেই বোরো ধানের চাষ শুরু হয়েছে। চরখি, আঙারপুর, যতীনপুরের বেশ কয়েকজন চাষি প্রতি বছরেই কাশীরাম দাস সেতুর নীচে অজয়ে ধান চাষ করেন। মাটি দিয়ে ছোট ছোট জমি তৈরি করেছেন তাঁরা। ট্রাক্টর নামিয়ে চাষ দিয়ে ধান লাগিয়ে দিয়েছেন। অনেকে আলুও চাষ করেন। যে যতটা এলাকা দখল করতে পারবেন তার ততটা জমি। এভাবে বেশ কয়েক কাঠা নদীর চর দখল করে ধান চাষ হচ্ছে। তবে মাটি দিয়ে আল তৈরি করা হচ্ছে। তাতে নদীর গতিপথ পরিবর্তনেরও আশঙ্কা রয়েছে। সব জেনেও চাষিদের একাংশ নদীর বুকে ধান চাষ শুরু করেছেন। চাষিরা জানান, এক একজন প্রায় পাঁচ-ছ’কাঠা জমিতে ধান চাষ করছেন। চরখি গ্রামের বাসিন্দা নাজেম শেখ বলেন, আমরা দিনমজুরি করি। সকাল হলেই অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করতে চলে যাই। তাই প্রতি বছর এমন সময় অজয়ে জল কম থাকায় বোরোধান চাষ করি। তবে এটা লটারির মতো। কোনও কারণে জল বাড়লে ধান আর পাব না। জল না বাড়লে ধান কিছুটা ঘরে নিয়ে যেতে পারি। সারা বছরের খাবারের চালের জোগান আসে। আমাদের নিজস্ব জমি নেই। তাই অজয়ের চরেই যেটুকু পারি চাষ করি। আঙারপুর গ্রামের আর এক চাষি বলেন, গরিব মানুষ। সেজন্য চাষ করে সংসার চালাই। তবে আমরা মাটির বাঁধ দিই না। নদীর বালি দিয়েই জমির আল তৈরি করি। নদীতে জল বাড়লে কিছুই আটকায় না। সব ধুয়ে যায়।