Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর নির্বাচনী ভাষণে একের পর এক ছড়িয়ে দিচ্ছেন আরও বিদ্বেষ, আরও হিংসা, আরও মিথ্যাচার। মোদির শাসনকাল মানেই জুমলার এক দশক। এতদিন মিথ্যা প্রচারে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাজিগর, আজ সেই রঙিন প্রচ্ছদ ছিঁড়ে প্রকাশিত চরম সত্য। মানুষ উপলব্ধি করতে পারছেন প্রতিটি মিথ্যাচারকে। ঈশপ কথিত নীল শৃগালের ধরা পড়ে যাওয়ার পরিচিত গল্পই যেন ফের নবরূপে ফিরে এসেছে। 
দুই পর্যায়ে ভোটের পর মোদির পেটোয়া সংস্থারাও আর ভরসা দিতে পারছেন না। নির্বাচন কমিশনও মোদিকে জেতাতে অসহায়। ইডি, সিবিআইকে অস্ত্র করে মোদিজির প্রতিহিংসার চিহ্নগুলি মানুষ বুঝে নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হচ্ছে না। তাই দুই পর্যায়ের ১৯০ আসনের মধ্যে মোদির পোষ্য প্রাইভেট গোয়েন্দারা পঞ্চাশও আশা করছেন না। এর আগের নির্বাচনে এই ১৯০ আসনের মধ্যে বিজেপি তাদের ব্যাগে পুরেছিল ৯৪টি আসন। মোদি বলেছিলেন, ‘আব কী বার চারশো পার’। সেই স্লোগান এখন অতীতের একটা জীর্ণ স্বপ্নমাত্র। মানুষ বলছেন, ‘আব কী বার, পার্লামেন্ট সে বাহার!’
বিজেপি সবথেকে বেশি ভয় পেয়েছে এবারের দুই পর্যায়ের ভোটের টার্ন আউট দেখে। প্রতিটা রাজ্যে কয়েক শতাংশ করে ভোট কমেছে। এর মধ্যে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু কেন্দ্রে  হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় যখন ভোটদান কমেছে, তখন সেই কেন্দ্রেরই মুসলিম মহল্লায় ঢেলে ভোট হয়েছে। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। যেমন উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগর। সেখানে হিন্দু ও মুসলিমদের শতকরা হার যথাক্রমে ৫৭.৫১ এবং ৪১.৩০ শতাংশ। এই লোকসভা কেন্দ্রের মুসলিম এলাকাগুলিতে ভোটের হার মোটামুটি আগের মতোই আছে। তাই হিন্দু ভোটের আগ্রহ কমে যাওয়া এবং মুসলিম ভোটের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে বিজেপি সিঁদুরে মেঘ হিসাবে দেখছে। এমন ঘটনা বিভিন্ন রাজ্যের অনেকগুলি কেন্দ্রে ঘটেছে। 
বিজেপি নেতৃত্ব বারবার আকুল হয়ে ভাবছে, কেন হিন্দু ভোটাররা আর মোদির ভাবমূর্তিতে আকৃষ্ট হচ্ছেন না! আসলে প্রত্যেক স্বৈরশাসকই নিজেকে ‘অবতার’ বলে মনে করেন। অনেকটা সত্যজিৎ রায়ের ‘মহাপুরুষ’ ছবির মতো। তিনি সূর্যদেবকে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠান। মোদিও এবার নির্বাচনের আগে আত্মবিশ্বাসের উত্তুঙ্গ শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, এজেন্সিকে দিয়ে বিরোধীদের পিঠে দুর্নীতির ছাপ্পা মেরে জেলে ভরলেই খেলাটা সহজ হয়ে যাবে। তা যে হচ্ছে না, সেটা তিনি সম্যক বুঝতে পেরেছেন। মানুষও বুঝতে পারছেন, মোদির ফেরা মানে সংবিধান বদলের আশঙ্কা। মোদির ফেরা মানে আরও বেশি শক্তি সংগ্রহ করে এক স্বৈরাচারীর প্রত্যাবর্তন, মোদির ফেরা মানে দেশজুড়ে এক কনসেনট্রেশন ক্যাম্প, মোদির ফেরা মানে দেশে আরও হিংসার বাতাবরণ, মোদির ফেরা মানে দেশের সম্পত্তি বিক্রি হয়ে যাওয়া, মোদির ফেরা মানে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতার অবসান, মোদির ফেরা মানে পাকিস্তানের মতো ভারত নামক এক মৌলবাদী রাষ্ট্রের জন্ম, মোদির ফেরা মানে আরও কয়েকটি গোধরা। এমনকী অনেকেই ভাবছেন, মোদির ফেরা মানে এটাই হয়তো শেষ নির্বাচন। গণতন্ত্রের কবরে পোঁতা হতে পারে শেষ পেরেক। তাই মানুষ খুব সাবধানী। তাঁদের কাছে রামনামের চেয়ে ভাতের প্রার্থনা অনেক বেশি কাম্য। হিংসার দাপাদাপির থেকে শান্তি ও সুস্থিতি বেশি কাম্য। তাই একসুরে বাজছে দেশবাসীর মন। এক ব্যর্থ শাসকের খপ্পর থেকে মুক্তি চান দেশের মানুষ। 
কেন এমন হল? তাই নিয়ে গবেষণায় বসেছেন গেরুয়া শিবিরের থিংক ট্যাঙ্করা। কীভাবে আবার দেশবাসীকে মোদি ম্যাজিকে ভোলানো যায়, তাই নিয়ে পথ খোঁজার চেষ্টা চলছে। দলের নেতারা বুঝতে পারছেন, আজ মোদির শত্রু মোদির ইমেজই। কিন্তু সেকথা বলার ক্ষমতা দলের কারও নেই। এক ইলেকশন বন্ডই মোদির ইমেজকে  চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়েছে। সকলের দিকে যিনি এতদিন আঙুল তুলে ‘চোর চোর’ বলে চেঁচিয়েছেন, তাঁর কাপড়ে লেগে গেল দুর্নীতির কলঙ্ক। অনেক চেষ্টা করেছিলেন সেটা চাপা দেওয়ার। কিন্তু লুটমারির সেই বাস্তব চিত্র দেখে দেশের মানুষ তাঁর প্রতি এক লহমায় সব বিশ্বাস হারিয়েছেন। অভিযোগ, স্বাধীন ভারতের সবথেকে বড় কেলেঙ্কারির পাণ্ডা হলেন মোদি। পার্টির লোকেরাও আর নির্বাচনী প্রচারে বুক বাজিয়ে বলতে পারছেন না, মোদি কোনও দুষ্কর্ম করেননি। তাই বহুদিন পর পুরনো স্লোগান আবার নতুন রূপে ফিরে এসেছে, ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, মোদি সরকার চোর হ্যায়’। আত্মবিশ্বাস হারিয়েছেন মোদিও। সমস্ত নির্বাচনী ভাষণে নেই কোনও উন্নয়নের কথা। বিজেপির নির্বাচনী ভাষণ লক্ষ্য করে দেখবেন, শুধু পঞ্চ ম-কার। মোদি, মুসলমান, মঙ্গলসূত্র, মছলি, মুঘল। এই মন্ত্র আউড়ে চারশো পার করার স্বপ্ন বিলাসিতা নয়, হারিকিরি।   
মোদির অন্ধ ভক্তরা তাঁকে না চিনলেও ভালো করে চিনতে পেরেছে আরএসএস। আজ সঙ্গ পরিবারের কাছেও শিরঃপীড়ার কারণ মোদির স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ। এতদিন পর্যন্ত বিজেপির সমস্ত কিছুর নিয়ন্ত্রক ছিল সঙ্ঘ পরিবার। কিন্তু মোদির আমিত্ব সেসবকে পরোয়া করছে না। মোদির ক্যারিশমার ওপর অটুট ভরসা ছিল আরএসএসের। মোদি নিজেই সেই ভরসা ছিন্ন করেছেন। নিজের স্বভাবদোষে সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে বেড়েছে তাঁর দূরত্ব।  একে তো যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে মো-শা জুটির দীর্ঘদিনের মন কষাকষি। তার ওপর রামমন্দির নিয়ে মোদির একগুঁয়ে আধিপত্যবাদ দেশের একশ্রেণির সাধু-সন্ন্যাসী মানতে নারাজ। অসম্পূর্ণ মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে যা হয়েছে,  তা নিয়ে খোলাখুলি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চার শঙ্করাচার্যই। তাঁদের অনুগামী অসংখ্য হিন্দু রয়েছেন। তাঁদের কাছে মোদি নন, শঙ্করাচার্যই হিন্দুধর্মের শেষ কথা। রামকে নিয়ে রাজনীতি করার জন্য প্রাণপ্রতিষ্ঠা কর্মসূচি বয়কটের ডাক দিয়েছিল হিন্দু মহাসভা। তারা সেই অনুষ্ঠান নিয়ে বলেছিল, ‘এটা একটা রাজনৈতিক সার্কাস।’ তাই বহু হিন্দুই আজ মোদির হিন্দুত্বকে মানেন না। মোদির রাজনৈতিক হিন্দুত্ব আসলে ক্ষমতা দখলের একটা টোপ।    এসব দেখে আরএসএসও এখন প্রমাদ গুনছে। তারা বুঝতে পেরেছে, একদিন দেশে হিন্দুত্বের শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে তারা লাটাইয়ের সুতো ছেড়ে মোদিকে অবাধে উড়তে দিয়ে ভুল করেছিলেন। দলের প্রচারক থেকে তাঁকে ধাপে ধাপে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল। একদিন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়ে মতবিরোধ হয়েছিল বাজপেয়ি এবং আদবানির মধ্যে। আদবানিও যে সবসময় মোদিকে পছন্দ করতেন, তা নয়। গোধরার সেই কলঙ্কিত গণহত্যার পর আদবানি অত্যন্ত কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘এই তালিবানি হিন্দুত্ব আমি মানি না।’ গোধরা কাণ্ডের পর বাজপেয়ি চেয়েছিলেন, রাজধর্ম পালন করতে মোদি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। কিন্তু সেদিন আরএসএস মোদির পিছনে দাঁড়িয়েছিল। বাজপেয়ি হিন্দুত্বের ধার ধারতেন না। তিনি ছিলেন সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। আদবানির দায়বদ্ধতা ছিল পার্টির প্রতি বেশি। আর মোদির দায়বদ্ধতা স্বৈরতন্ত্রের কাছে। 
আরএসএস ও মোদির দ্বন্দ্বটা শুরু সেই ২০১৪ সাল থেকেই। বিজেপির জয়ের পর অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘মোদিই ম্যান অব দি ম্যাচ।’ তখন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত সেকথাকে খণ্ডন করে বলেছিলেন, ‘এই জয় কোনও একক ব্যক্তির নয়। এটা সামগ্রিক লড়াইয়ের ফল।’ কথাটা নরেন্দ্র মোদির পছন্দ হয়নি। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত কোনওদিন মোদি ও ভাগবতের মুখোমুখি একান্ত বৈঠক হয়নি। মোহন ভাগবত চাইলেও মোদি সময় দেননি। মোদি নাগপুরে গেলেও আরএসএস দপ্তরে যাননি। ২০১৪ থেকে আরএসএস-মোদির মধ্যে যোগসূত্র রচনা করে চলেছেন অমিত শাহ। ভাগবত প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন মোদিকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। সেটা সম্ভব হয়নি। তাই এখন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে সঙ্ঘ পরিবার বুঝতে পারছে, মোদিরাজ মানে সঙ্ঘের ক্ষতি। তারা এখন বিকল্প হিসাবে যোগীরাজকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু মোদির শক্তির সঙ্গে এখনই এঁটে ওঠা সম্ভব নয়। তাই সঙ্ঘ চাইছে, মোদি যেন কখনওই সোয়া দুশো পার করতে না পারে। মোদি যেন চাপে থাকেন, সেক্ষেত্রে মো-শা জুটিকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হবে। এ যেন সেই ইঁদুরের বিড়াল থেকে বাঘ হয়ে ওঠার গল্প! সেই বাঘ একদিন মুনিকেই খেতে গিয়েছিল। আরএসএস তা হতে দেবে না। তাদের কামড়ে খাওয়ার আগেই তারা বলে উঠতে চাইছে, পুনর্মূষিকো ভব। 
সারা দেশও সেই সুরে সুর মিলিয়ে বলছে, পুনর্মূষিকো ভব। তবে মানুষের ভোটের ইঙ্গিত বলছে, ভাটার টানে আসন সংখ্যা দুশোর আগেই থমকে যাবে। সেই অবস্থায় জোটসঙ্গীরা একছুটে পালাবে। এবারের নির্বাচন দেখবে সেই আকাশচুম্বি ঔদ্ধত্যের পতন।  
01st  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
একনজরে
ফি-বছর ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘরে পরিনত হয় দমদম ও দক্ষিন দমদম পুরসভার বিস্তীর্ন এলাকা। তাই মরসুমের শুরু থেকেই এবার সতর্ক পা ফেলতে চাইছে দমদম। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১১১২: ইতিহাসের এই দিনে চীনা জ্যোতির্বিদরা সূর্যের অভ্যন্তরে কালো বায়বীয় বস্তুর অস্তিত্ব লক্ষ করেন
১৫১৯: কালজয়ী চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মৃত্যু
১৮৮৩:  শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে কলকাতার কাশীশ্বর মিত্রের নন্দনবাগান বাড়িতে
১৯০৮: বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যু
১৯২১: চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৯: ভারতের প্রথম বিজ্ঞান সংগ্রহশালা, বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৬৯: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার জন্ম
১৯৭৫: ইংরেজ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের জন্ম
২০০৮: মায়ানমারে ‘নার্গিস’ ঝড়ে মৃত্যু অন্তত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষের
২০১১: অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে নিহত আল কায়দার জঙ্গি ওসামা বিন লাদেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৬১ টাকা ৮৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০২.২৬ টাকা ১০৬.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। সপ্তমী ১/৩৮ প্রাতঃ ৫/৪৭ পরে অষ্টমী ৫৭/১৫ রাত্রি ৪/২। শ্রবণা নক্ষত্র ৫৫/৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৭/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। 
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১২/৪৯। শ্রবণা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৯/২১ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৫/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৪ গতে ৩/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২২ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৫ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২২ গতে ৩/৪৫ মধ্যে। 
২১ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থানকে ১ রানে হারাল হায়দরাবাদ

11:37:08 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট হেটমার, রাজস্থান ১৮১/৫(১৭.৪ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:18:32 PM

আইপিএল: ৭৭ রানে আউট পরাগ, রাজস্থান ১৫৯/৪(১৫.৫ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:06:58 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১৫৭/৩,(১৫ ওভার) টার্গেট ২০২

11:03:12 PM

আইপিএল: ৬৭ রানে আউট জয়সওয়াল, রাজস্থান ১৩৫/৩(১৩.৩ ওভার)(টার্গেট ২০২)

10:55:32 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১০০/২,(১০ ওভার) টার্গেট ২০২

10:35:00 PM