Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। আমাদের গ্রামে বিজেপি বেশ শক্তিশালী। কিন্তু তাতেও কী হবে বলা কঠিন।’ কঠিন কেন? মধুবাবুর উত্তর, ‘ওই যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এতদিন মা, বউ দু’জনেই হাজার টাকা করে পেত। এখন থেকে ১২০০ টাকা করে। কোথাও যেতে হয় না। লাইন দিতে হয় না। প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যায়। ঠিক যেন পেনশন। এরপরেও মা, বউ কেউ আমার কথা শুনবে ভেবেছেন?’
নাকাশিপাড়া বাজারে কাঠফাটা রোদের মধ্যে রঙিন ছাতা খাটিয়ে শসা বিক্রি করছিলেন রঘুনাথ সরকার। রোদের তাপের মধ্যেও শসা সতেজ রাখার জন্য দিচ্ছিলেন জলের ছিটে। ভোটের হাওয়া জানতে চাওয়ায় রঘুনাথবাবুর উত্তর, ‘এবার লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। তবে পাল্লা ভারী বিজেপির।’ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রসেনজিৎ সরকারের প্রতিবাদ, ‘মোটেই না। দিদির হাওয়া। দেখবেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বিরোধীদের পাল্লা হাল্কা করে দেবে।’
রায়গঞ্জের রাজবাড়ি গেটের কাছে রয়েছে দিলদার হোসেনের সাইবার কাফে। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তুলতে এসেছিলেন শঙ্করপুর গ্রামের করুণা দেবশর্মা বর্মণ। অভাবের সংসার। তাই নিজে সেলাইয়ের কাজ করেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ তুলতেই একমুখ হাসি। বললেন, ‘এই টাকাটা হয়তো অনেকের কাছেই সামান্য। কিন্তু আমাদের জন্য অনেক। খুব উপকার হয়েছে।’
যশোদা সর্দারের বাড়ি বেলডাঙার সারগাছিতে। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। বহরমপুর শহরে ঘরভাড়া নিয়ে থাকেন। চারটি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে মাসে পান সাড়ে তিন হাজার টাকা। সংসার চালাতেই সব শেষ। অসুখ করলে হাত পাততে হতো। 
তবে, এখন আর হাত পাততে হয় না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কিছু টাকা খরচ করেন, বাকিটা রাখেন অসময়ের জন্য। তাঁর কথায়, ‘এতদিন সবাই ভোট নিয়েছে, কিন্তু আমাদের কথা কেউ ভাবেনি। দিদিই প্রথম আমাদের কথা ভেবেছে। তাই আমরাও আছি দিদির পাশে। ’
দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ, সর্বত্রই ভোটচর্চার মুখ্য বিষয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি সব দলের নেতার কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। একান্ত আলাপচারিতায় প্রায় সব নেতাই মানছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মোকাবিলাই এবারের নির্বাচনের প্রধান চ্যালেঞ্জ। ব্যতিক্রম বিজেপির দিলীপ ঘোষ।
দিলীপবাবু এখনও তাঁর আগের মন্তব্যে অনড়। এখনও তাঁর দাবি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়ার জন্য লাই঩নে দাঁড় করিয়ে মহিলাদের তৃণমূল শুধু ভিখারি বানায়নি, আরও নীচে নামিয়েছে। সন্দেশখালি তার প্রমাণ। উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেত্রীর মতো ক্ষমতায় ফিরলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেননি দিলীপবাবু। তবে, এই প্রকল্প চালু রাখা নিয়ে তাঁর ঘোর সংশয় রয়েছে। তাঁর কথায়, বিজেপি সর্বভারতীয় দল। সেই দল কোনও একটি রাজ্যের জন্য এই প্রকল্প চালু রাখতে পারে না। সেটা করলে সব রাজ্যেই করতে হবে। ভোটের আগে অনেকে অনেক কথা বলতেই পারে। কিন্তু আমি সেই নীতিতে বিশ্বাসী নই।
এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মোকাবিলার কোনও অস্ত্র বিরোধীদের হাতে নেই। অনেকেই মনে করছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই প্রধান প্রতিপক্ষ। তাই অনেক বিজেপি নেতা মহিলাদের মাসে দু’হাজার, তিন হাজার টাকা দেওয়ার ‘গাজর’ ঝোলাচ্ছেন। কিন্তু দিলীপ ঘোষের মুখে এখনও উল্টো কথা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের বিরোধিতা করলে ভোট কমার আশঙ্কা প্রবল। কিন্তু দিলীপবাবু নিজের স্ট্যান্ডে অটল। অন্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের ফারাকটা এখানেই। তিনি যেটা সত্যি বলে মনে করেন সেটাই বলেন। দিলীপবাবু প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে বন্ধ হবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’।
বাম আমলে একটা পলিথিন দেওয়ার আগেও যাচাই করা হতো বেনিফিসিয়ারির রাজনৈতিক পরিচয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রথার বিলোপ ঘটিয়েছেন। এখন সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য পার্টি অফিসের সুপারিশের প্রয়োজন হয় না। কাগজপত্র ঠিক থাকলেই মেলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। এমনকী, কোনও মানুষ সরকারি পরিষেবার বাইরে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারি কর্মীরা গ্রামে গ্রামে ঘোরেন। তাই রেখা পাত্রের মতো কট্টর বিজেপি কিংবা সিপিএম পরিবারের মা, বোনেদেরও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেতে অসুবিধা হয় না। দলমত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোটি কোটি মানুষ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পায়। এটাই উন্নয়নের প্রাথমিক শর্ত। ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’।
সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেলেই তিনি শাসক দলের অনুগামী হয়ে যাবেন, এমনটা নয়। বিশেষ করে সক্রিয়ভাবে যাঁরা রাজনীতি করেন তাঁরা নিজের দলকেই সমর্থন করবেন। সরকার যত কাজই করুক, আর যত সুবিধাই দিক তাঁদের মত পাল্টায় না। উল্টে খুঁত বের করেন। তবে পরিষেবা ও সুযোগ সুবিধার বিচারে বদলায় ‘ফ্লোটিং ভোটারে’র অভিমুখ। এই ফ্লোটিং ভোটাররা কোনও রাজনৈতিক দলের ‘গোলাম’ হন না। তাঁরা মিটিং, মিছিলে যান না। তাঁরা মূলত সরকারের কাজ ও ব্যক্তিগত সুবিধা, অসুবিধার কথা মাথায় রেখে ভোট দেন। তাঁরাই সরকারকে স্থায়িত্ব দেন এবং ‘পরিবর্তনে’ও নেন অগ্রণী ভূমিকা। অনেকেই বলছেন, এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফ্লোটিং মহিলা ভোটারের অভিমুখ ঠিক করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
একুশের নির্বাচনেই প্রমাণ হয়েছে, বাংলায় মহিলা ভোটারদের উপর বিজেপির প্রভাব তেমন নেই। কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মা, বোনেদের মনে আস্থার বীজ বুনেছিলেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাকে মহীরুহে পরিণত করেছে। তার শিকড় পৌঁছেছে মাটির অনেক গভীরে। তাকে ধরাশায়ী করা সহজ কাজ নয়।
মালদহের এক বিজেপি নেতার কথায়, জেলার দু’টি আসনেই আমাদের অনুকূল পরিস্থিতি। মালদহ উত্তরে আমরা আগে থেকেই শক্তিশালী। আর দক্ষিণে কংগ্রেস ও তৃণমূলের ভোট কাটাকাটিতে আমাদের জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাছাড়া তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ও দুর্নীতি দেখে মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। তবুও আমরা নিশ্চিন্ত হতে পারছি না। কারণ একটাই, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ লোকসভা আসনে পুরুষের চেয়ে মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি। বাকি আসনে প্রায় সমান সমান। উত্তরবঙ্গ সহ রাজ্যের ১২টি লোকসভা কেন্দ্র ঘুরে মনে হয়েছে, পাড়ার আড্ডায় বা চায়ের ঠেকের আলোচনা থেকে এবারের ভোটের অঙ্ক কষা কঠিন। কারণ গ্রামে, গঞ্জে বইছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রবল হাওয়া। সেই হাওয়ায় উল্টে যাবে বহু আসনে ভোটের অঙ্ক।
একুশের ভোটের বদলা নিতে বিজেপি সহ বিরোধীরা গত তিন বছরে একের পর এক ইস্যুকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তৃণমূলকে নাস্তানাবুদ করেছে। কিন্তু লাভ তেমন হয়নি। শাসক দলের বাঘা বাঘা নেতা-মন্ত্রীকে জেলে ভরলেও বদলায়নি পরিস্থিতি। ফায়দা আসেনি সন্দেশখালি কাণ্ডেও। বিজেপির শেষ অস্ত্র ছিল সিএএ। সেটাও ব্যুমেরাং হয়ে ফিরছে। বিরোধীদের ইস্যুর নবতম সংযোজন ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি খারিজ।
আদালতের রায়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল বিরোধী শিবির। ভেবেছিল, ‘ঢাকি সহ বিসর্জনে’র ফায়দা পাবে তারাই। কিন্তু দিন যত গড়াচ্ছে ততই সামনে আসছে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের চাকরি খোয়ানোর খবর। তাতে পাল্টা আঘাতের আশঙ্কা বিরোধী শিবিরে। সেই ভয়ে কেউ কেউ সহানুভূতি দেখা঩চ্ছেন। চোখের জলও ফেলছেন। কিন্তু চাকরি যাওয়ায় তাঁরা বেজায় খুশিই হয়েছেন। তাই এবার বিজেপি বিধায়ক অমর শাখার টার্গেট, ৫৯ হাজার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্প চালু করে ভাতের জোগান সুনিশ্চিত করতে চাইছেন, তখন বিরোধীরা মানুষের পেটে লাথি মারতে মরিয়া। সে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকই হোক বা শিক্ষক।
27th  April, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
একনজরে
ফি-বছর ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘরে পরিনত হয় দমদম ও দক্ষিন দমদম পুরসভার বিস্তীর্ন এলাকা। তাই মরসুমের শুরু থেকেই এবার সতর্ক পা ফেলতে চাইছে দমদম। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১১১২: ইতিহাসের এই দিনে চীনা জ্যোতির্বিদরা সূর্যের অভ্যন্তরে কালো বায়বীয় বস্তুর অস্তিত্ব লক্ষ করেন
১৫১৯: কালজয়ী চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মৃত্যু
১৮৮৩:  শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে কলকাতার কাশীশ্বর মিত্রের নন্দনবাগান বাড়িতে
১৯০৮: বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যু
১৯২১: চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৯: ভারতের প্রথম বিজ্ঞান সংগ্রহশালা, বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৬৯: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার জন্ম
১৯৭৫: ইংরেজ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের জন্ম
২০০৮: মায়ানমারে ‘নার্গিস’ ঝড়ে মৃত্যু অন্তত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষের
২০১১: অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে নিহত আল কায়দার জঙ্গি ওসামা বিন লাদেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৬১ টাকা ৮৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০২.২৬ টাকা ১০৬.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। সপ্তমী ১/৩৮ প্রাতঃ ৫/৪৭ পরে অষ্টমী ৫৭/১৫ রাত্রি ৪/২। শ্রবণা নক্ষত্র ৫৫/৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৭/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। 
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১২/৪৯। শ্রবণা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৯/২১ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৫/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৪ গতে ৩/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২২ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৫ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২২ গতে ৩/৪৫ মধ্যে। 
২১ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থানকে ১ রানে হারাল হায়দরাবাদ

11:37:08 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট হেটমার, রাজস্থান ১৮১/৫(১৭.৪ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:18:32 PM

আইপিএল: ৭৭ রানে আউট পরাগ, রাজস্থান ১৫৯/৪(১৫.৫ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:06:58 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১৫৭/৩,(১৫ ওভার) টার্গেট ২০২

11:03:12 PM

আইপিএল: ৬৭ রানে আউট জয়সওয়াল, রাজস্থান ১৩৫/৩(১৩.৩ ওভার)(টার্গেট ২০২)

10:55:32 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১০০/২,(১০ ওভার) টার্গেট ২০২

10:35:00 PM