ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, পশুর মৃতদেহ তোলার জন্য যন্ত্র কেনা হয়েছে। কিন্তু মৃতদেহ মাটিতে পোঁতার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা পাওয়া যায়নি। আমরা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট, এডিডিএ ও ডিপিএল-এর কাছে ভাগাড়ের জায়গার জন্য আবেদন জানাব।
কারও বাড়ির পোষ্য হোক, অথবা খাটালের গবাদি প্রাণী-দুর্গাপুরে পশুদের মৃতদেহ ফেলার কোনও নির্দিষ্ট ভাগাড় নেই। রাস্তার বিড়াল, কুকুরের মৃত্যু হলেও তাদের দেহ পথের ধারেই পড়ে থাকে। আর মৃত পশুদের দেহে পচন ধরে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পথচারীদের নাকে রুমাল চাপা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের আশুতোষ মুখার্জি রোড, লিংক রোড, মার্কনী সহ একাধিক এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই রাতের অন্ধকারে পশুর মৃতদেহ ফেলা হয়। আশুতোষ মুখার্জি রোড একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত রাস্তা। সেই রাস্তার দু’পাশে দীর্ঘদিন ধরে পশুর মৃতদেহ ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভোগান্তির শিকার স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ কয়েকবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পুরসভা ও পুলিস সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলেও কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
স্থানীয় বাসিন্দা সুন্দরী সোরেন বলেন, পচা দুর্গন্ধে বাড়িতে টেকা দায় হয়ে গিয়েছে। লোকে কী ভাবে? এই রাস্তার দু’পাশ ভাগাড়? গোরু, কুকুর, বিড়ালের মৃতদেহ রাতারাতি গোপনে ফেলে দিয়ে যায়। আমরা প্রায় প্রতি বছর বিক্ষোভ দেখাই। কিন্তু লাভ হয়নি।
মার্কনীর বাসিন্দা দেবাশিস চৌধুরী বলেন, সরকারি ভাগাড়ের জায়গা না থাকায় পশুর মৃতদেহ আমাদের এলাকায় ফেলা হচ্ছে। পাড়ার একটি ফাঁকা জায়গায় রাতের অন্ধকারে ফেলে যাচ্ছে। দুর্গন্ধে বাড়িতে থাকা যায় না। অগত্যা ওই পশুর দেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এসব করতে গিয়ে প্রতি মাসে হাজার টাকার উপর খরচ হয়। পুরসভা একটু বিষয়টি দেখলে উপকৃত হব। পশুপ্রেমী অবন্তিকা শ্যাম রায় চৌধুরী বলেন, আমরা জেলা প্রশাসন ও পুরসভার কাছে একটি ভাগাড় গড়ে তোলার আবেদন জানিয়েছি।