ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত পুরুলিয়া শহরে কাঁসাই নদীর এলাকা থেকে অধিকাংশ জায়গায় জল সরবরাহ করা হয়। শহরের মধ্যে যে গভীর নলকূপগুলি রয়েছে সেগুলি থেকে খুব কম এলাকায় জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তাই শহরের জল সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য কাঁসাই নদীর জলই ভরসা। গরমের শুরুতেই কাঁসাই নদীতে জল সম্পূর্ণ শুকিয়ে গিয়েছে। নদীগর্ভ থেকে জল উত্তোলন করে যে জল পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে শহরে জল সরবরাহ করছে পুরসভা। কিন্তু ওই এলাকাতেও জলস্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাওয়ায় শহরে জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রবিবার দুপুরে কাঁসাই নদী এলাকায় পরিদর্শনে যান পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে নব্যেন্দু মাহালি বলেন, এদিন কাঁসাই নদী এবং পাম্প সংলগ্ন এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। পুরসভার জল বিভাগের অন্যান্য আধিকারিক এবং কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কাঁসাই নদীতে জলের অবস্থা খুবই শোচনীয়। নদীর ওপরে জলের ছিটেফোটাও নেই। চারিদিক শুকিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া জলের স্তর অনেক নীচে নেমে গিয়েছে। কাঁসাই নদী এলাকায় ছয়টি পাম্প সক্রিয় রয়েছে। ও এলাকায় আরও পাম্প বসানোর পাশাপাশি নদীতে গভীর নলকূপ করার প্রস্তাব পাঠানো হবে। চেয়ারম্যান আরো বলেন, নদীতে যে পরিমাণ বালি মজুত থাকা প্রয়োজন ছিল তার অনেকটাই কমে গিয়েছে। বালি কমে যাওয়ার ফলে নদীর জল ধারণ ক্ষমতাও কমে গিয়েছে। নদীতে জল ধরে রাখতে না পারলে শহরের জল সমস্যারও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। তাই আগেভাগে আমরা সতর্ক থাকতে চাইছি।
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া শহরে জলের সঙ্কটের জেরে ইতিমধ্যে দিনে একবার করে জল সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। সেই সঙ্গে শহর জুড়ে অবৈধভাবে জল চুরি রুখতে লাগাতার অভিযানো শুরু করেছে পুরসভা। ইতিমধ্যে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু জলের পাম্প বাজেয়াপ্ত করেছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। জল চুরি রুখতে পারলে এবং শহরের বেশ কিছু জায়গায় জলের অপচয় আটকে দিতে পারলে জলের সমস্যা খানিকটা হলো মেটানো সম্ভব হবে বলে দাবি পুরসভা কর্তৃপক্ষের।