ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
আগামী ১৩ মে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। প্রার্থী ঘোষণার আগেই কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে নির্বাচনী সভা করে গিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। ধুবুলিয়া সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে সভার মধ্যে দিয়ে এবছর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রকে যে তাঁরা বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন তা আগেই জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ডাক দিয়েছেন যে কোনও মূল্যে মহুয়াকে পরাজিত করার। অন্যদিকে, এথিক্স কমিটির রায়ে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরেই মহুয়াকে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মমতা। নির্বাচন পর্বের সূচনায় কৃষ্ণনগর কেন্দ্র বেছে নিয়ে এই কেন্দ্রের বিশেষ গুরুত্বের কথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনিও। সব মিলিয়ে রাজ্যের দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছে মহুয়ার কেন্দ্র এবার সম্মান রক্ষার লড়াই।
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হয়ে গেল তেহট্টের বেতাই হরিচাঁদ গুরুচাঁদ স্টেডিয়ামে। সেখানে তিনি এই কেন্দ্রে মহুয়াকে জেতানোর জন্য আবেদন করেন। এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন শুক্রবার মোদি সেই বিষয়ে কী বলেন সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। মমতার সভার লোক সংখ্যাকে মোদির সভা ছাপিয়ে যেতে পারে কি না, লক্ষ্য সেদিকেও।
প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভা নিয়ে সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক প্রস্তুতি শেষ। আশা করছি লক্ষাধিক লোকের জমায়েত হবে।
দুই রাজনৈতিক দলের এই লড়াই উপভোগ করছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, তেহট্টের মতো প্রান্তিক শহরে মুখ্যমন্ত্রী অনেক বার এলেও প্রধানমন্ত্রী আগে আসেননি। এবার তিনি আসছেন। এলাকার প্রবীণরা বলেন, ১৯৭২ সালে ইন্দিরা গান্ধী একবার এসেছিলেন। তারপর এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী আসবেন। তবে শেষ কথা বলবে জনগণ।