পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
দুপুর ২টোর দিকে রামপুরহাট থেকে কলকাতা যাওয়ার কোনও ট্রেন নেই। এই কারণে তীর্থযাত্রীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। অনেকেই সকালে তারামায়ের পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরতে চান। কিন্তু, দুপুরের দিকে ট্রেন না পেয়ে তাঁদের সময় নষ্ট হয়। এই অসুবিধের কথা ভেবে তারাপীঠ-কলকাতা ভায়া রামপুরহাট এসি বাস পরিষেবাও চালু করছে এসবিএসটিসি। তমোনাশবাবু বলেন, সকাল বেলায় কলকাতা থেকে বাসটি তারাপীঠে আসবে। ২টোর সময় তারাপীঠ ছেড়ে ফের কলকাতার উদ্দেশে যাবে। এদিন সংস্থার পক্ষ থেকে টিআরডিএর কাছে বাসগুলি রাখার জায়গা ও বুকিং কাউন্টারের জন্য ঘর চাওয়া হয়েছে। টিআরডিএর চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রামপুরহাটে এসবিএসটিসির বাস ডিপো করার জন্য একটি জায়গা পাওয়া গিয়েছে। সেই মতো ১৩ কোটি টাকার ডিপিআর পাঠানো হয়েছে। ওখানে আমরা ডিপো কাম টার্মিনাস করব। আশাকরি তারাপীঠে এসে এর ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে বাস চালকদের থাকার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। তমোনাশবাবু বলেন, চালকরা দূর থেকে বাস চালিয়ে যাত্রীদের নিয়ে আসেন। তাই চালকদের কথা ভেবে টিআরডিএর কাছে বড় হলঘর চেয়েছি। ওখানে অল্প টাকায় চালকদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা-তারাপীঠ ভায়া পানাগড়, কলকাতা-তারাপীঠ ভায়া নতুনহাট, ফলতা-তারাপীঠ ভায়া নতুনহাট, আরামবাগ-তারাপীঠ ভায়া নতুনহাট, পুরুলিয়া-তারাপীঠ ভায়া আসানসোল, পুরুলিয়া-তারাপীঠ ভায়া বাঁকুড়া, সিউড়ি-হাবড়া ভায়া তারাপীঠ, কাটোয়া রুটে সংস্থার বাস বর্তমানে যাতায়াত করে। এবার সেই তালিকায় ঢুকতে চলেছে আরও ন’টি রুটের বাস।
প্রসঙ্গত, তারাপীঠ থেকে জেলার ধর্মীয় স্থানগুলি দর্শনের জন্য বাস পরিষেবার উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, আচমকা ওই পরিষেবার দুটি বাসই বন্ধ হয়ে যায়। এব্যাপারে পরিবহণ সংস্থার কর্তারা বলেন, ফের নতুন করে তারাপীঠ-দীঘা রুটে বাস চালু হতে চলেছে। আশিসবাবু বলেন, আসলে যাত্রী না হওয়ায় বাস দু’টি বন্ধ হয়ে যায়।
যদিও তমোনাশবাবু বলেন, সরকারি বাস সব ক্ষেত্রেই লাভজনক হবে এমনটা নয়। আমাদের নীতি হচ্ছে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া। সেখানে কিছুটা ভর্তুকি দিতে হলে দেব। বিগত সরকারের সময় সংস্থার বাৎসরিক আয় ছিল ৬৪ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের শুরুতে সেই আয় বেড়ে হয়েছে ১৭৫ কোটি টাকা। এবছর আমাদের টার্গেট রয়েছে ২০০ কোটি টাকা।