শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
মেখলিগঞ্জ পুরসভায় ৯টি ও হলদিবাড়ি পুরসভায় ১১টি ওয়ার্ড রয়েছে। দু’টি পুরসভা মিলে ভোটার প্রায় ৩০ হাজার। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ওয়ার্ড ভিত্তিক যে রিপোর্ট এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে দু’টি পুরসভা মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার ভোট লিড পাবেন তৃণমূল প্রার্থী। যদিও বিজেপির দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনে হলদিবাড়ি পুরসভা থেকে তাদের প্রার্থী প্রায় সাড়ে চার হাজার ভোট লিড পেয়েছিলেন। মেখলিগঞ্জে তৃণমূল প্রায় ১৫০ ভোট লিড পেয়েছিল। এবারে দু’টি শহরেই বিজেপির পক্ষে ভালো ভোট হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, মহকুমায় তিস্তার জয়ী সেতু যেমন করেছে রাজ্য সরকার, তেমনি দু’টি শহরের বাসিন্দারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ সামাজিক প্রকল্পের সুবিধাও পাচ্ছেন। বিজেপির এমপি গত পাঁচ বছরে হলদিবাড়ি শহরের জ্বলন্ত সমস্যা রেলের ওভারব্রিজের বিষয়টি নিয়ে একবারও বলেননি। কালীবাড়ি মোড় থেকে ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত রেলের ওভারব্রিজের দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন বাসিন্দারা। এবারের ভোটে বিষয়টি যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে।
এব্যাপারে প্রাক্তনমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী বলেন, এবারে তৃণমূলের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের পক্ষে ভালো ভোট হয়েছে। মানুষ তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন দেখে ভোট দিয়েছেন। বিজেপি এমপি গত পাঁচ বছরে কিছুই করেনি। মানুষ তৃণমূল সরকারের সামাজিক প্রকল্প, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ তিস্তার জয়ী সেতুর কৃতিত্বের জন্য তৃণমূলকেই ভোট দিয়েছেন। বিজেপি মুখে যাই বলুক আমরা দু’টি পুরসভা থেকে কমপক্ষে ছয় হাজার ভোট লিড পাব।
বিজেপির মেখলিগঞ্জ শহর মণ্ডল সভাপতি আশেকার রহমান বলেন, এখানে গত বিধানসভায় তৃণমূল সামান্য ভোট লিড পেয়েছিল স্থানীয় প্রার্থী হওয়ার কারণে। তারপর এখানকার বিধায়ক মন্ত্রী হওয়ার পর কী করেছেন সেটা সবাই জানে। একই সঙ্গে হলদিবাড়ি শহরে আমরা সাড়ে চার হাজার ভোট লিড পেয়েছিলাম গত বিধানসভা নির্বাচনে। সেই মার্জিন এবার বাড়বে। গ্রামীণ এলাকার সঙ্গে শহর এলাকায়ও আমরা বড় লিড পাব। বিজেপির এসব দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।