শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি জানিয়েছে, ওই গ্রামের ট্রান্সমিটার পুড়ে গিয়েছে। সেই ট্রান্সমিটার সারাই করা হয়নি। ফলে বেশ কিছুদিন ধরেই বিদ্যুতের সমস্যা চলছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একাধিকবার বিদ্যুৎ কোম্পানিতে জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। এবিষয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির বালুরঘাটের ডিভিশনাল ম্যানেজার শুভময় সরকার বলেন, বিষয়টি এই মুহূর্তে জানা নেই। তবে এধরনের সমস্যা হলে দ্রুত খতিয়ে দেখে সমাধান করা হবে।
এবিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা সুনীল বাঘোয়ার বলেন, আমাদের গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই লো ভোল্টেজের সমস্যা হচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে গ্রামে একেবারেই বিদ্যুৎ নেই। ফলে গোটা গ্রামকে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। কৃষিকাজেও চরম সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা এদিন সবাই মিলে বিদ্যুৎ কোম্পানির অফিসে গিয়েছিলাম। আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন আজকের মধ্যে সমস্যা সমাধান করে দেবেন। আর এক বাসিন্দা অরুণ দাস বলেন, এসময় কৃষিজমিতে জলের প্রয়োজন। বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে আমাদের ভরসা ইলেকট্রিক চালিত মার্শাল কিংবা পাম্প। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে গত একমাস ধরে আমরা সেচের কাজে জল ব্যবহার করতে পারছি না। ফলে আমাদের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ দপ্তরে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সমস্যার সমাধান না হলে আমরা এবার রাস্তা অবরোধ করব।
দক্ষিণ দিনাজপুর কৃষি প্রধান এলাকা। বর্তমানে চাষের জন্য বিদ্যুৎতের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। বোল্লা পঞ্চায়েতের বদলপুরে বেশিরভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। কিন্তু অভিযোগ, একমাস ধরে গ্রামে লো-ভোল্টেজ চলছে। গ্রামে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার চলছে। এদিকে গত শুক্রবার থেকে একেবারেই বিদ্যুৎ নেই। ফলে চাষবাস তো দূরের কথা, বাড়িতে ফ্যান ঘুরছে না। এমনকী বিদ্যুতের মাধ্যমে কোনও কাজই হচ্ছে না। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এদিন বিক্ষোভের পরে গ্রামে যান বিদ্যুৎ কোম্পানির কর্মীরা। তাঁরা এদিনই ট্রান্সমিটার সারাইয়ের কাজ শুরু করেছেন।