পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
বিজেপির চা শ্রমিক সংগঠন বিটিডব্লুইউ’কে নিয়ন্ত্রণ করেন বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। তিনি এবার ভোটে দলের টিকিট পাননি। ফলে বিটিডব্লুইউ নেতৃত্বও এবার ভোটে কার্যত বসে গিয়েছিল। ভোটের দিন বিটিডব্লুইউ নেতাদের বাগানে বাগানে সেভাবে দৌড়ঝাঁপ করতেও দেখা যায়নি। নেতাদের এই নিষ্ক্রিয়তার জন্য এমনিতেই চাপে গেরুয়া শিবির। তার উপর বিটিডব্লুইউ নেতারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বাগানে বাগানে জমির পাট্টা ও ঘর তৈরিতে শ্রমিকদের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া রাজ্য সরকারের উন্নয়নের এই ত্রিফলা অস্ত্রের প্রভাবের কথা স্বীকার করে নেওয়ায় কি আরও চাপে পদ্মশিবির?
বিটিডব্লুইউয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তেওফিল সোরেন বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জমির পাট্টা ও ঘর তৈরির জন্য শ্রমিকদের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবারের ভোটে ভালো প্রভাব পড়েছে। তাতে মনে হচ্ছে নাগরাকাটা, মাদারিহাট বা কালচিনির মতো চা বলয় এলাকায় তৃণমূল ভালো ফল করবে। তৃণমূল এবার চা বাগানে ভালো খেটেছে। তেওফিলবাবু বলেন, উন্নয়নের জন্য ভোটারদের মানসিকতাতে পরিবর্তন আসেই। ব্যতিক্রম নন চা বাগানের শ্রমিকরাও। তবু আমাদের মনে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত কম ভোটের ব্যবধানে বিজেপিই জিতবে।
যদিও দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের এই যুক্তি একেবারেই মানতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। বিজেপির জেলা সভাপতি মনোজবাবু বলেন, বিটিডব্লুইউ নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই। চা শ্রমিকরা জানেন, এটা দেশের ভোট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভোট। এটা পঞ্চায়েত বা রাজ্যের ভোট নয়। আর চা শ্রমিকরা ভালো করে জানেন, জমির পাট্টা বা ঘর তৈরির টাকা শুধুমাত্র তৃণমূল সমর্থক চা শ্রমিকরাই পেয়েছেন। সব বাগানের সব শ্রমিকের সেই সুবিধা মেলেনি। ফলে আমরাই জিতছি।
চা শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের এই উন্নয়ন এবারের ভোটে প্রভাব পড়বে বলে বিটিডব্লুইউ নেতৃত্ব মেনে নেওয়ায় খুশি তৃণমূল নেতৃ্ত্ব। তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইক বলেন, আমরা আর কি বলব। আমাদের জয় যে নিশ্চিত সেটা বিজেপির শ্রমিক সংগঠন বিটিডব্লুইউ নেতাদের কথাতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।