পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মল্লিকার্জুন বলেন, আরএসএস এবং বিজেপি একই মুদ্রার দুইপিঠ। মোদির একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিয়ম করে কংগ্রেসকে গালমন্দ করা। আসলে দেশের উন্নয়নে কংগ্রেস বরাবরই একনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে এসেছে। ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ দিয়ে কংগ্রেস দেশকে স্বাধীন করেছে। তখন জনসঙ্ঘ, বিজেপি, আরএসএস কোথায় ছিল সেই প্রশ্নও তোলেন কংগ্রেস সভাপতি।
জাতীয় কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, বিজেপি নেতারা এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবরই কংগ্রেস সম্বন্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। কিন্তু কংগ্রেসই সারাদেশে রোজগার নিশ্চয়তা প্রকল্প চালু করেছে। দেশের মানুষের শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করেছে। একের পর পর জনহিতকর পরিকল্পনার রূপায়ণ করেছে। কিন্তু বিজেপি চায় দেশের মানুষ নিরক্ষর থাকুক। তাহলে তাঁদের রাজ করতে সুবিধা হবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রীকে কার্যত ‘মিথ্যেবাদী’ও বলেন খাড়্গে। তাঁর সংযোজন, মোদি বেকারদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। বছরে ২০ লক্ষ বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি আসলে ভুয়ো। কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করার মিথ্যে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মোদি। সেসব ভুলে গেলে চলবে না।
নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি দেশের সম্প্রীতির আবহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চাইছেন বলেও এদিন অভিযোগ করেন খাড়্গে। বিজেপি দেশের সংবিধান বদলে দিতে চাইছে। এমনই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি।
কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা নিয়েও এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন মল্লিকার্জুন। তাঁর কথায়, ইনকাম ট্যাক্স, ইডি ও সিবিআই রেড করিয়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ইলেকশন বন্ড তুলেছে বিজেপি। বিরোধী নেতাদেরকে ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে যোগদান করতে বাধ্য করছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও আক্রমণ না শানালেও এদিন মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, কংগ্রেস একটি জাতীয় দল। আমরাই বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। অনেক আঞ্চলিক দল বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় সেটিং করে নিচ্ছে।
জনগণের উদ্দেশে জাতীয় কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, আঞ্চলিক দলকে ভোট দেবেন না। বরং দেশে সম্প্রীতির বাতাবরণ পুনরুদ্ধার করতে একমাত্র কংগ্রেসকেই জয়ী করার আবেদন জানান তিনি। তবে সুজাপুরের মতো এক সময়ের কংগ্রেস ঘাঁটিতে খাড়্গের জনসভায় মানুষের উপস্থিতি তেমন ছিল না। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি স্তিমিত হয়ে পড়েছে কংগ্রেস?
তবে জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, একে তীব্র গরম। তার ওপরে প্রচারের শেষ দিনে দলের বেশিরভাগ কর্মী সমর্থকই নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত। তাই প্রত্যাশার তুলনায় কিছু কম লোক সভায় এসেছিলেন।