পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
নির্বাচনের সময় একটানা দীর্ঘদিন নিজেদের এলাকায় দলকে সংগঠিত করার কাজ করেছেন। ফলে অনেকেরই পরিবারকে নিয়ে বাইরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়নি। তাই নির্বাচন শেষ হতেই অনেকে বেড়াতে গিয়েছেন। অনেকে আবার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে জেলার বাইরে আছেন। ফল প্রকাশের এখনও অনেকটাই দেরি। সেই সময়কালের মধ্যে তাঁরা ফের জেলায় ফিরে আসবেন।
রবিবার কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, এখন আমি সিতাইয়ের বাড়িতেই আছি। দার্জিলিং বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নাতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেখানে আর যাওয়া হয়নি। চিকিৎসার জন্য ১৩ মে কলকাতা যাব। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, এখানে ভোট শেষ হতেই আমি মালদহে প্রচারে গিয়েছিলাম। কাঁথিতে নির্বাচনী প্রচারে যেতে বলা হয়েছে। সেখানে যাব। মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মন মালদহ থেকে বীরভূমে প্রচারে গিয়েছেন। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে কৃষ্ণনগরে প্রচারে যাবেন। দলের অনেকেই প্রচারের কাজে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন।
কোচবিহারের তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতা রাকেশ চৌধুরী বলেন, এতদিন নির্বাচনের কাজে সকলেই ব্যস্ত ছিলাম। নির্বাচন শেষ হতেই দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক সহ আরও কয়েকজন নেতা তমলুকে দলের হয়ে প্রচারে গিয়েছেন। অভিজিৎবাবু সেখান থেকে বেঙ্গালুরু গিয়েছেন। ফিরে আবার তমলুকে যাবেন। আমি রবিবার পরিবার নিয়ে মালবাজারে এসেছি। আমিও তমলুকে প্রচারে যেতে পারি।
কোচবিহারে প্রথম দফায় ভোট হয়ে গিয়েছে। ভোটের ফল বের হবে ৪ জুন। তাই নির্বাচন শেষ হওয়ার পর লম্বা একটা সময় এখন হাতে। জেলার রাজনৈতিক উত্তাপও এখন কম। তাই এই সময়টা সব দলের নেতারাই নানাভাবে কাজে লাগাতে চাইছেন। অনেকেই যেমন দলের হয়ে অন্যত্র প্রচারে যাচ্ছেন, তেমনই অনেকে আবার পারিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ আবার কাছেপিঠে ঘুরে বেরিয়ে সময়টা উপভোগ করতে চাইছেন। জরুরি কাজও সেরে নিচ্ছেন কেউ কেউ।