বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৬০০ জন রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতালে ৬০টি শয্যা রয়েছে। জরুরি বিভাগে ঢোকার মুখেই রয়েছে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয় পরিজনদের জন্য বসার ঘর। এই ঘরের চালা যে পরিস্থিতিতে রয়েছে তাতে মাঝারি ধরনের ঝড় এলে তা উড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একটু বৃষ্টিতেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জল ঢুকে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ নীচু হওয়ায় সূর্যের আলো ঠিকমতো ঘরে ঢোকে না।
ময়নাগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক লাকি দেওয়ান বলেন, এই চালা বহু পুরানো। তবে বেশ শক্তপোক্ত রয়েছে। কিন্তু কিছু টিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেখান দিয়ে বৃষ্টির জল পড়ে। আমি নিজে কিছু টিনের চাল পরিবর্তন করেছি। এব্যাপারে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দেখছি কী হয়, তবে এত বড় একটি হাসপাতালে বহু পুরাতন এই টিনের চালা মনে হয় পরিবর্তন করে পাকা ছাদ করা উচিত। আমি এই ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখন সময়ের অপেক্ষা।
উল্লেখ্য,ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের উপর ব্লকের ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন লক্ষ লোক নির্ভরশীল। এই হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে ময়নাগুড়িবাসী সন্তুষ্ট থাকলেও পরিকাঠামো নিয়ে অনেকের মনেই ক্ষোভ রয়েছে। দীর্ঘদিনের এই হাসপাতালের পরিকাঠামোর কবে উন্নয়ন হয় আর কত দিন পর হাসপাতাল নতুন রূপে সেজে ওঠে সেদিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে ময়নাগুড়িবাসী। তবে এর মধ্যে এখানে আরেকটি প্রধান সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকের অভাব। এই গ্রামীণ হাসপাতালে মাত্র চার জন চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁদের পক্ষে এত বড় হাসপাতাল সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। মঝেমধ্যেই রোগী ও তাঁদের পরিজনরা এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।