উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
রেল সূত্রের খবর, রেল বোর্ড থেকে জোনগুলির জেনারেল ম্যানেজারদের এই চিঠি দেওয়া হয়েছে গত ৬ নভেম্বর। সেই চিঠিতেই বলা হয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে জোন এবং বিভাগগুলি নিরন্তর চেষ্টা চালানোয় দূরপাল্লার ট্রেনের সময়ানুবর্তিতার হাল অনেকটাই ফিরেছে। গত বছরে যেখানে দূরপাল্লার ট্রেনের সময়ানুবর্তিতার মান ছিল ৬৭.৮২ শতাংশ, সেখানে চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫.৩৬ শতাংশ। সেই জায়গায় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের অবস্থা তুলনামূলকভাবে খারাপ। চলতি আর্থিক বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সেটি আটকে রয়েছে ৭০.৬৮ শতাংশে। পরিস্থিতির হাল ফেরাতে ১৫ দিন ধরে বিভিন্ন জোন এবং তাদের বিভাগগুলিকে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে রেল বোর্ড।
রেল সূত্রের খবর, রেল বোর্ডের নির্দেশ, প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিকে সময়ে চালাতে হবে। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চলাচল সংক্রান্ত সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। অপারেটিং, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যালিং অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সুপারভাইজার ও অফিসারদের পরিদর্শনে বের হতে হবে। যান্ত্রিক গোলযোগে অনেক সময় সময়ানুবর্তিতা মার খায়। এইসব ক্ষেত্রে যান্ত্রিক গোলযোগ দ্রুত সারাতে হবে। দেরিতে চলা ট্রেনের সময় ‘মেকআপ’ করতে অনুমোদিত সর্বোচ্চ গতিতে চালাতে হবে।
রেলের সর্বোচ্চ স্তর থেকে এমন নির্দেশকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন যাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্যাসেঞ্জার ট্রেন সময়ে না চললে দৈনন্দিন কাজকর্ম তালগোল পাকিয়ে যায়। পরিকল্পনামাফিক কাজ করা সম্ভব হয় না। তাতে নানা সমস্যা তৈরি হয়। ট্রেন দেরিতে চললে শিশু কিংবা বয়স্কদের সমস্যা বাড়ে। পশ্চিমবঙ্গ রেলযাত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অপরেশ ভট্টাচার্য বলেন, রেল যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা ইতিবাচক। কিন্তু, এই ধরনের প্রক্রিয়া গোটা বছর ধরেই চালানো দরকার। তবেই সার্বিকভাবে ট্রেনগুলির সময়ানুবর্তিতার মান বাড়বে। তার জন্য অভিযানের পাশাপাশি নিরন্তর পরিকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি। তা না হলে লাইনের উপর চাপ বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে একটি ছোট ঘটনাতেও একাধিক ট্রেনের উপরে প্রভাব পড়বে। তাতে মার খাবে সময়ানুবর্তিতা।
রেল মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, আসলে গোটা বছর ধরেই সময়ানুবর্তিতা মেনে চলার চেষ্টা চলে। তার মধ্যেও বিশেষ অভিযানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সময়ানুবর্তিতা বাড়াতে কেবল রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং নয়, রক্ষীযুক্ত লেভেল ক্রসিংও সুযোগ-সুবিধা মতো তুলে দেওয়া হচ্ছে। সম গতির ট্রেনকে পরপর চালানো সহ আরও নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি, চলতি আর্থিক বছরের শেষে সব ধরনের ট্রেনের সময়ানুবর্তিতার মান সার্বিকভাবে বাড়বে।