উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
সোনিয়ার রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেল বলেছেন, বিজেপি কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং সঙ্কীর্ণ মানসিকতার দল, সেটা এই সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট। গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য তথা দেশের দু’জন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন ভারতে জঙ্গি আক্রমণে নিহত হয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এখনও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিটি সরকারই গান্ধী পরিবারের এসপিজি সুরক্ষা বজায় রেখেছেন। কিন্তু মোদি সরকার কোনও সৌজন্য কিংবা প্রটোকলের তোয়াক্কাই করে না। তাই সব জেনেও গান্ধী পরিবারের এপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হল। বিগত এক বছর ধরে গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যের সুরক্ষা বলয় নিয়ে সমীক্ষার পর দেখা যায়, রাহুল গান্ধী তাঁর সিংহভাগ বিদেশ সফর এবং ব্যক্তিগত সফরে এসপিজিকে সঙ্গেই নেননি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বারংবার সিকিউরিটি প্রটোকল ভঙ্গ করেছেন। সোনিয়া গান্ধীও তাই। রাহুল নিজে অবশ্য এদিন রাতেই ট্যুইট করে এসপিজিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। লিখেছেন, এসপিজির সব ভাইবোনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ আপনাদের দায়বদ্ধতা, সবসময় আপনাদের সমর্থনের জন্য।
উল্লেখ্য, বিগত ১৯৮৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিজের বাসভবনেই দুই রক্ষীর হাতে নিহত হন। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর। মহাত্মা গান্ধীর পর স্বাধীন ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ভিভিআইপি হত্যা। ওই ঘটনার পরই বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী নির্মাণের প্রস্তাব ওঠে। ১৯৮৮ সালে স্পেশাল সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীদের এসপিজি সিকিউরিটি দেওয়া হয় । কিন্তু ১৯৯১ সালে গান্ধী পরিবারের উপরই নেমে আসে আবার চরম সন্ত্রাসবাদী আঘাত। নির্বাচনী প্রচারে যাওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে জনসভায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করে শ্রীলঙ্কার জাফনা থেকে আসা প্রভাকরণের জঙ্গি বাহিনী এলটিটিই। যার জেরে সেই বছরই এসপিজি আইনের সংশোধন করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যদেরও দেওয়া হয় এসপিজি। সেই থেকেই বিগত ২৮ বছর ধরে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীরা পেয়ে আসছেন এসপিজি নিরাপত্তা। প্রথমে শাশুড়ি এবং তার পর স্বামীর সন্ত্রাসবাদীদের হাতে মৃত্যুর পর সোনিয়া গান্ধী মেয়ে প্রিয়াঙ্কার অনুরোধে দীর্ঘদিন রাজনীতিতে আসেননি। এমনকী রাহুল গান্ধীকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিদেশে। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস কর্মীদের অনুরোধে দীর্ঘ নির্বাসন ভেঙে সামনে আসেন সোনিয়া। এবং তারপর ধীরে ধীরে তাঁর দুই পুত্রকন্যাও পা রাখেন রাজনীতিতে। এসপিজি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এবার থেকে এই তিন গান্ধী পরিবারের সদস্যের প্রহরায় থাকবে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর কমান্ডোরা। আজ থেকে দেশের মধ্যে এসপিজি সুরক্ষা বলয়ে থাকবেন শুধু একজনই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!