বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর কেন্দ্রীয় সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে কমবেশি আড়াইশো এমবিবিএস আসনে এই সংরক্ষণ চালু করতে সম্মত হয়। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার মেঘ না চাইতে জলের মতো সাড়ে চারশো নতুন ইডব্লুএস আসন চালু করতে বলেছে রাজ্যকে। এইসব আসনে ভর্তির ক্ষেত্রেই এই নিয়মকানুনগুলি বলবৎ হবে।
স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, দ্বিতীয় রাউন্ডের কাউন্সেলিং থেকে ইডব্লুএস লাগু করা হবে। ২২ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত হাতেকলমে যাচাই পর্ব চলবে। ২৬ জুলাই তালিকা প্রকাশিত হবে। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ডাঃ রাজেন পাণ্ডে বলেন, ৩ আগস্টের মধ্যে এই সংরক্ষণের অন্তর্ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি শেষ করে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা তৎপর।
এদিকে, এদিন লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন জানান, সারা দেশে গত দুই শিক্ষাবর্ষে সবশুদ্ধ ২৪ হাজার ৬৯৮টি মেডিক্যাল আসন বেড়েছে। এ বছরে শুধু ইডব্লুএস সংরক্ষণে আসন বেড়েছে ৪৮০০টি। এ বছর নিট পাশ ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইডব্লুএস আসন সহ সারা দেশে ৭৫ হাজার মেডিক্যাল আসন রয়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। চিকিৎসক সঙ্কটের সমস্যা মেটাতে এবার নতুন নিয়মও করেছে কেন্দ্র। তারা জানিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজগুলিকে অনুমোদন পাওয়ার তিন বছরের মধ্যে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম চালু করতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ খরচে ৮২টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। এর পিছনে ৬০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারের। বাকি ৪০ শতাংশ রাজ্যের। এক-একটি মেডিক্যাল কলেজ গড়তে খরচ হয় ১৮৯ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার এর মধ্যে অনুমোদিত মেডিক্যাল কলেজগুলির জন্য ৭৫০৭.৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেই দিয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে জানুয়ারি ২০১৪ থেকে কাজ শুরু হওয়া ৩৯টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে আট জেলায় সবশুদ্ধ ২৪টি মেডিক্যাল কলেজ হবে। এই পর্বে এক-একটি মেডিক্যাল কলেজ গড়া বাবদ খরচ পড়বে আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা। ২৪টির মধ্যে ১৭টির জন্য ১৩৭৫.১৩ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দ হয়েছে।