বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুসারে গুনতে হবে বেশি ভিভিপ্যাট স্লিপ। আগে যেখানে লোকসভা ভোটে প্রতি বিধানসভা পিছু একটি করে পোলিং বুথে ভিভিপ্যাট গোনা হত, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশানুসারে এবার তা গুনতে হবে পাচঁটি করে। গোটা দেশে ৫৪৩ টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। সাত দফার নির্বাচন। শুরু হয়েছে ১১ এপ্রিল। শেষ হবে আগামী রবিবার ১৯ মে। ফল প্রকাশ ২৩ মে। গণনার দিন দ্রুত রেজাল্ট জানতে সাধারণ মানুষ তথা রাজনৈতিক দলগুলি উতলা হলেও আদতে কমিশনের ভোট গুনতে সময় লাগবে।
গোটা দেশে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা হল ৪,১২০ টি। প্রতিটি বিধানসভা পিছু পাঁচটি করে বুথের ভিভিপ্যাট স্লিপ গুনতে হবে। তাই সেই সংখ্যাটি দাঁড়াচ্ছে ২০ হাজার ৬০০। এছাড়া চণ্ডীগড়, লাক্ষাদ্বীপ, দমন ও দিউ, আন্দামান ও নিকোবর এবং দাদরা-নগরহাভেলির মধ্যো পাঁচটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। সেখান থেকে গোনা হবে পাঁচটি করে। ফলে আদতে সব মিলিয়ে ২০ হাজার ৬২৫ টি বুথের ভিভিপ্যাট স্লিপ গুনতে হবে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথ পিছু সাধারণত ৮০০ থেকে আড়াই হাজার পর্যন্ত ভোটার রয়েছে।
তাই যেকোনও বুথ থেকেই কন্ট্রোল ইউনিট এবং ভিভিপ্যাট স্লিপ গুনে মিলিয়ে দেখতে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় লাগবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আগে পর্যন্ত একটি করে বুথে স্লিপ গোনার নিয়ম ছিল। আর তাতেই মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় বিধানসভার ভোট গুনতে দেরি হয়ে যায়। তাই এখন সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পর ভিভিপ্যাট মিলিয়ে গুনতে কত সময় লাগবে তা বুঝে উঠতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। তাই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের গোড়া থেকেই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে মন দিয়ে ভিভিপ্যাট স্লিপ গোনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এবার ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে দেশের প্রতিটি বুথে ভিভিপ্যাটযুক্ত ইভিএমে ভোট হচ্ছে। যা এর আগে কোনওদিন হয়নি। ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার গোটা দেশে ১০ লক্ষ ৩৫ হাজার ভোটকেন্দ্র বা পোলিং বুথ রয়েছে। লোকসভা ভোটের জন্য কমিশন এবার ব্যালট ইউনিটের ব্যবস্থা করেছে ২৩ লক্ষর কিছু বেশি। কন্ট্রোল ইউনিটের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৩৫ হাজার। ভিভিপ্যাট মেশিনের সংখ্যা ১৭.৪ লক্ষ।
প্রতিটি কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে একটি করে ভিভিপ্যাট লাগানো থাকে। ভোটাররা ইভিএমে যে বোতাম টিপে ভোট দেন, তা জমা হয় ভোটকেন্দ্রে তৃতীয় পোলিং অফিসারের অধীনে থাকা কন্ট্রোল ইউনিটে। ভোট গ্রহণ শেষ মোট কত ভোট পড়েছে, তা দেখে নিয়ে সেটি সিল করা হয়। খোলা হয় গণনার দিন। সেইদিনই দেখা হয়, কোন প্রার্থী কত ভোট পেয়েছেন। এবার ওই কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে ভিভিপ্যাট মেশিনের বাড়তি দায়িত্ব। তার মধ্যেই জমা হচ্ছে প্রার্থী ও দলের নামে ভোট পড়া কাগজের স্লিপ। তাই বিধানসভা পিছু পাঁচটি করে বুথের কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে ভিভিপ্যাট স্লিপ গুনতে কমিশনকে এবার যথেষ্ট পরীক্ষার মধ্যেই পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।