বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
লণ্ঠন সবার জীবন আলোকিত করে জানিয়ে লালু লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে, আপনি প্রবলভাবে আলোর বিরোধিতা করছেন। আপনি জানেন না, যে লন্ঠন হল আলোর প্রতীক। এটা ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। গরিবদের জীবন থেকে অন্ধকার দূর করার উপায় হল এই লণ্ঠন।’ হিন্দিতে লেখা ওই চিঠিতে আরজেডি সুপ্রিমো আরও বলেছেন, ‘লণ্ঠনের সাহায্যে আমরা দেশবাসীর জীবন থেকে ঘৃণা, অত্যাচার, অন্যায়ের অন্ধকার মুছে ফেলেছি। কিন্তু, আপনার তীর হল হিংসার প্রতীক। হিংসার সমার্থক হল এই তীর।’
এখানেই থেমে থাকেননি লালুপ্রসাদ। নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও জোরালো করে তিনি লিখেছেন, ‘কেউ যদি খোলা মনের হয়, তাহলে বেকারত্ব, নির্যাতন, ঘৃণা, নিপীড়ণ, অন্যায় অবিচার, বৈষম্যের অন্ধকার দূর করতে পারে লণ্ঠন। কিন্তু, এসব তত্ত্ব আপনি কী করে বুঝবেন? কেননা ভয় পাওয়া এবং নিজের সুবিধার জন্য শর্ট কাট নেওয়ার আপনার বহু পুরনো অভ্যেস।’ পুনরায় এনডিএতে ফেরা এবং জোটসঙ্গী বিজেপিকে নিয়েও জেডিইউ সুপ্রিমোকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি লালু। আরজেডি প্রধানের কথায়, ‘তীর দিয়ে ১১ কোটি মানুষকে পিছন থেকে বিদ্ধ করেছেন আপনি। পাঁকে ফোটা ফুলকে (বিজেপির প্রতীক পদ্ম) আপনি আপনার সুবিধামতো হয় নিশানা করেছেন বা সেই ফুলের মধ্যে তীরকে লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু, মনে রাখবেন এখন নতুন যুগ। তীর এখন তাই অতীত।’
চিঠি লিখে নীতীশকে আক্রমণ লালুর নতুন কিছু নয়। এর আগে আগে আত্মজীবনী ‘ফ্রম গোপালগঞ্জ টু রাইসিনা’ বইয়ে লালু লিখেছেন, ২০১৭ সালে পুনরায় এনডিএতে ফেরার ছ’মাসের মধ্যে মহাজোটে ফেরার একাধিক চেষ্টা করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আগামী রবিবার শেষ দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে দেশের ২৯টি কেন্দ্রে। ফলপ্রকাশ ২৩ মে।