বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
আগামী রবিবার ঝাড়গ্রামের ১৯৯৪টি বুথে ভোট হবে। যেহেতু ঝাড়গ্রাম মাওবাদী প্রভাবিত জেলা (এলডব্লুই) বলে চিহ্নিত, তাই সেখানে প্রতি বুথে এক সেকশন অর্থাৎ আটজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবেন। তাঁদের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট পরে ডিউটি করতে বলা হয়েছে। অন্য সব সাধারণ বুথে হাফ সেকশন বা চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ডিউটি করবেন। ষষ্ঠ দফায় যেসব লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে, ইতিমধ্যে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। টহলদারিও শুরু হয়েছে। জঙ্গলমহলে ল্যান্ডমাইন খোঁজার কাজও শুরু করে দিয়েছে। মাইন নিরোধক যন্ত্র নিয়ে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের তল্লাশি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইইডি বিস্ফোরণ এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। জঙ্গলের ভিতরের রাস্তায় গাড়ি ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে।
ভোটের দফা বাড়ার সঙ্গে রাজ্যে মোদি-মমতার রাজনৈতিক লড়াই যেমন তুঙ্গে উঠেছে, তেমনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। প্রথম দিকে ৬০-৭০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। পরে পঞ্চম দফা থেকে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন শুরু হয়। তবে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারা থাকলেও এলাকায় গোলমালের ঘটনা ঘটতে থাকে। চতুর্থ দফায় মুর্শিদাবাদে এক কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনা ঘটে। এরপর এলাকায় টহলদারির জন্য ক্যুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ৮০ থেকে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ১৪২টি। এবার ষষ্ঠ দফায় ৫৪৭টি ক্যুইক অ্যাকশন টিম তৈরি করা হয়েছে। যার মাথায় থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কমান্ডাররা।
ভোটে হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়েছে। আগামী দু’দফায় আরও গোলমাল হতে পারে, এই আশঙ্কায় ক্যুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতি মুহূর্তে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে দিলীপ ঘোষ, হিমন্ত বিশ্বশর্মার কনভয়ে হামলার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। কিছু জায়গায় গোলমাল প্রসঙ্গে লিখিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ভালো। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই এত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বারাকপুরের প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে গুন্ডাগিরির অভিযোগ করা হয়েছে।