বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
বিষয় হিসেবে ইংরেজির কথা ধরা যাক। এবার বলা হয়েছে, প্রধান পরীক্ষকদের সঙ্গে পরীক্ষকদের বৈঠক করতে হবে ১৩ মার্চ। সেদিনই তাঁর কাছ থেকে উত্তরপত্র পেয়ে যাবেন পরীক্ষকরা। তারপর প্রথম ধাপের উত্তরপত্র মার্কস সহ জমা দিতে হবে ২৩ মার্চ (লিখিত নির্দেশে ২২ মার্চ বলা হলেও সেদিন হোলি থাকায় পরে তা ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে পিছিয়ে দেওয়া হয়)। দ্বিতীয় দফার খাতা মার্কস সহ জমা দিতে হবে ৩ এপ্রিল। অর্থাৎ দু’দফায় সব মিলিয়ে ২৩ দিন সময় পাবেন পরীক্ষকরা। যদি বৈঠক, মার্কস জমা দেওয়ার দিনগুলি বাদও দেওয়া হয়, তাহলেও প্রায় ২০ দিন সময় পাচ্ছেন তাঁরা। অন্যান্য বিষয়েও আনুপাতিক হারে দিনের সংখ্যা বেড়েছে।
এবার দেখে নেওয়া যাক, গতবার কতটা সময় পেয়েছিলেন পরীক্ষকরা? ইংরেজির জন্য ১১ মার্চ প্রধান পরীক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক ছিল পরীক্ষকদের। ১৭ মার্চ তাঁদের প্রথম কিস্তির উত্তরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। আর দ্বিতীয় কিস্তির উত্তরপত্র জমা দিতে বলা হয় ২০ মার্চ। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ১০ দিনের মতো সময় পেয়েছিলেন তাঁরা। তার উপর ছিল ভোটের প্রশিক্ষণের চাপ। তাতেও দিন নষ্ট হয়েছে। কিছু জায়গায় খাতা জমা দেওয়ার দিনের সঙ্গে প্রশিক্ষণের দিনের সংঘাত হয়েছে। পরে কোনওরকমে তা সামাল দেওয়া গিয়েছে। আবার কোথাও মাধ্যমিকের বৈঠকের সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সংঘাত হয়েছে। এর ফল ভুগতে হয়েছে পরীক্ষকদের। তাঁরা পিপিএস, পিপিআর করে অপেক্ষা করে থেকেছেন। অনেকেরই হয়তো সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আবেদন করা হয়নি। আবার অনেকেই যখন সংশোধিত ফল হাতে পেয়েছেন, তার মধ্যে অনেক সুযোগই নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, এবার আমরা খাতা দেখার সময় কিছুটা বাড়িয়েছি। কারণ, গতবার ভোট থাকার ফলে পরীক্ষকদের কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। এবারও ভোট রয়েছে। আবার অনেক পরীক্ষককে মাধ্যমিকের খাতাও দেখতে হয়। তাঁরা সমস্যায় পড়েন। কিন্তু এর জন্য ফলপ্রকাশে কোনও দেরি হবে না। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, সংসদ যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা কিছুটা সহায়ক অবশ্যই হবে। তবে, এবারও ভোট রয়েছে। তাই দিন নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা এবারও রয়েছে। সংসদকে বুঝতে হবে, শিক্ষকদের মুচলেকা দিয়ে কাজ করানো যায় না। কারণ, গতবার তা করে লাভ হয়নি। এবারও মুচলেকার ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি জরুরি এ ধরনের ইতিবাচক এবং কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়া।