বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
অবশেষে রাতে জানা গেল, ওই ব্যক্তি আসলে শিবনারায়ণ দাস। যিনি চিটফান্ড জগতে সুদীপ্ত সেনের ‘গুরু’ বলেই পরিচিত। সুদীপ্তর মেন্টর, তথা চিটফান্ড ব্যবসায় তাঁর গুরু সেই শিবনারায়ণের সঙ্গে মঙ্গলবার দীর্ঘ সময় কথা বলল সিবিআই। ২০০৮ সালে এই শিবনারায়ণ দাস সুদীপ্ত সেনের কাছে আসেন। পঞ্জি স্কিম নিয়ে সুদীপ্তকে বোঝান। সুদীপ্তর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল সারদা কর্তার গাড়ির চালকের মাধ্যমে। এরপর শিবনারায়ণবাবুর কথামতো সুদীপ্ত পুরোপুরি চিটফান্ড ব্যবসায় নামেন। পালানোর আগে সুদীপ্ত যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতে তাঁর নাম ছিল। কিন্তু সিট তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি বলে অভিযোগ। সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার বেশ কিছুদিন পর ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে তারা। জানা যায়, তিনি সারদা রিয়েলটির ডিরেক্টর ছিলেন।
সিবিআইয়ের দাবি, চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে এই শিবনারায়ণ এবং হুন্ডি ব্যবসায়ীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শিবনারায়ণ পরে সারদা থেকে বেরিয়ে এসে নিজে একটি চিটফান্ড কোম্পানি করেন, যার নাম সিলিকন। এছাড়াও একাধিক চিটফান্ড কোম্পানি গড়তে অন্যদের সাহায্য করার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন মাস্টারমাইন্ড। সারদার টাকা কীভাবে পাচার করা হবে, তার পুরো পরিকল্পনাই এই শিবনারায়ণের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে সিবিআই মনে করছে।
এদিন একটি ঘরে যখন সিবিআই অফিসাররা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে কথা বলছেন, তখনই অন্য একটি ঘরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অন্য দল শিবনারায়ণের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনভর তাঁর বক্তব্য শোনার পর সেইসব বিষয় নিয়ে অফিসাররা রাতে রাজীব কুমারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। অন্যদিকে, শিবনারায়ণকে শিলংয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বারবারই সেই ফোন ‘নট রিচেবল’ হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজীব কুমারকে আজ বুধবারও সিবিআই দপ্তরে ডাকা হয়েছে। ফলে তাঁকে আর কতদিন শিলংয়ে থাকতে হবে, তা এদিন রাত পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।
এদিকে, রাজীব কুমারকে রোজভ্যালিতে বিঁধতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। পুলিসেরই একটি সূত্র এমন দাবি করে বলেছে, রোজভ্যালি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে রাজীব কুমারের সামনে নাকি কোনও তথ্যপ্রমাণই তুলে ধরতে পারেননি সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। আসলে রোজভ্যালি নিয়ে কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা কোনওভাবে প্রাসঙ্গিক ছিল না বলে পুলিসের সূত্রটি দাবি করেছে। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, রাজীব কুমারের সঙ্গে সিবিআইয়ের কারও মতান্তর হয়নি। এমনকী তাঁকে কিছু বলতে বাধ্যও করা হয়নি। যতটুকু প্রয়োজন ছিল, ততটুকুই আলোচনা করা হয়েছে। পুলিসের একাংশের আরও দাবি, শনিবার থেকে তাঁকে একই প্রশ্ন করে চলেছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। কোন তথ্যপ্রমাণও দেখাতে পারছেন না। যদিও সিবিআইয়ের বক্তব্য, সমস্ত কিছু সময়মতো জানা যাবে।