বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
এদিন ছিল প্রথম ভাষার পরীক্ষা। সাধারণত, এই পরীক্ষায় টোকাটুকির আগ্রহ কম থাকে। কিন্তু পর্ষদের বজ্র আঁটুনিকে কিছুটা ঠাট্টা করেই যেন প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ল। তাও মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে। এবার শিক্ষকদের কিছুটা ব্রাত্য করে সরকারি আধিকারিকদের দিয়ে পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি হচ্ছে। মোবাইল না নিয়ে আসার জন্য শিক্ষকদের কার্যত হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন কল্যাণময়বাবু। তার পরেও এই ঘটনায় শিক্ষকরা বলছেন, তাঁদের উপর ভরসা না করেই ডুবতে হল পর্ষদকে। আর সভাপতির বক্তব্য, আমাদের স্বভাবটাই এমন হয়ে গিয়েছে যে, মোবাইল ছাড়া একদণ্ড থাকতে পারি না। বাকি পরীক্ষাগুলিতে যাতে কেউ মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে না ঢোকেন, তার জন্য আরও কড়া নির্দেশ দিচ্ছি। কে করছে জানতে পারলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেব। তবে তাঁর দাবি, এতে কোনও পরীক্ষার্থী অন্যায্য সুবিধা নিতে পারেনি। কারণ পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাই পরীক্ষা বাতিলের প্রশ্নই নেই। এই দাবিকে অসার বলে দাবি করছেন শিক্ষকরা। কারণ, যে পথে প্রশ্ন বাইরে বেরিয়েছে, সেই পথে উত্তরও যথাস্থানে পৌঁছে যাওয়ার কথা।
শুধু প্রশ্ন বেরিয়ে পড়া নয়, বেশ কিছু স্কুলে পর্যাপ্ত সংখ্যায় প্রশ্নপত্র না পৌঁছনোরও অভিযোগ উঠেছে। বর্ধমানের দু’টি স্কুলে এরকম অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা। কলকাতারও বেশ কিছু স্কুলে পর্ষদের নিয়ম না মেনে দশ-এর গুণিতকে আসন সাজানো হয়নি। ১০টি করে প্রশ্নের প্যাকেট থাকার কারণে তাই সমস্যা হয়েছে। ডেবরার একটি স্কুলে ঘরের অভাবে প্যান্ডেল করে পরীক্ষা হয়েছে। প্রথম অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে সভাপতি বলেন, হয়ত কাস্টডিয়ানের কাছ থেকে আনতে দেরি হয়েছে। বড় ঘর হলে একটি-দু’টিতে বিজোড় সংখ্যক পরীক্ষার্থী থাকতে পারে। আর ডেবরার ঘটনাটি পরীক্ষার পরে জেনেছি। বাড়তি প্রার্থীদের কাছাকাছি স্কুলে বসার ব্যবস্থা করব।