পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সহ সব রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানুয়ারি মাস থেকে রেশন ব্যবস্থায় আধার নম্বর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। কেন্দ্রের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় ঠিক করতে নবান্নে ফাইল পাঠিয়েছে খাদ্য দপ্তর। নবান্ন থেকে কোনও জবাব আসেনি। তাই ই-পিওএস যন্ত্রে ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্রের নম্বরও ব্যবহার করার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ছ’টি জেলার ৩৬০টি রেশন দোকানে ই-পিওএস যন্ত্র চালু হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে উত্তরবঙ্গের ছ’টি জেলার সব দোকানে যন্ত্র বসবে। আগামী মে মাসের মধ্যে রাজ্যের প্রায় ২০ হাজার রেশন দোকানের সবগুলিতে এই যন্ত্র বসিয়ে ফেলা হবে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
ই-পিওএস যন্ত্রে ডিজিটাল রেশন কার্ড সোয়াইপ করে গ্রাহককে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। সোয়াইপ করার সঙ্গে সেই তথ্য খাদ্য দপ্তরের সার্ভারে চলে যায়। এতে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করছে সরকার। গ্রাহকের জন্য বরাদ্দ খাদ্য বাইরে পাচার করা যাবে না। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে এই যন্ত্রে গ্রাহকের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে আধার নম্বর যাচাইয়ের ব্যবস্থা রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করলে আঙুলের ছাপ দিয়ে আধার নম্বর যাচাই করা সম্ভব নয়। খাদ্য দপ্তরের বক্তব্য, রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে আধার বাধ্যাতামূলক করার বিষয়টির নীতিগত বিরোধিতা প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার করে আসছে। ডিজিটাল রেশন কার্ড সোয়াইপ করার মাধ্যমে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনা যাবে বলে মনে করে খাদ্য দপ্তর।
তবে রেশন ডিলারদের অভিযোগ, ই-পিওএস যন্ত্র ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে খাদ্য দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। অনেক রেশন দোকানে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার জন্য কার্ড সোয়াইপ করতে সমস্যা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকা তো বটেই, এমনকী শহরাঞ্চলেও অনেক সময় নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। তা ছাড়া কম্পিউটার চালিত যন্ত্র চালানোর মতো পারদর্শী কর্মী বহু রেশন দোকানে নেই। এ ধরনের কর্মী রাখার জন্য যে খরচ হবে, তা ডিলারদের কমিশন দিয়ে বহন করা সম্ভব নয়। খাদ্যমন্ত্রী অবশ্য বলছেন, ই-পিওএস যন্ত্র রেশন দোকানগুলিতে ভালোভাবেই কাজ করছে।
কেন্দ্রীয় সরকার গাইডলাইনে জানিয়েছে, কোনও জায়গায় ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক না পাওয়া গেলে গ্রাহকের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড দেখতে হবে। ওই গ্রাহকদের জন্য আলাদা রেজিস্টার তৈরি করে তা নিয়মিত অডিট করাতে হবে। ডিলারদের বক্তব্য, যেখানে যন্ত্র বসেছে, সেখানে অনেক সময় নেটওয়ার্ক না পাওয়ার জন্য এখনও অনলাইনের বদলে অফলাইনে রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হচ্ছে। খাদ্য দপ্তর এ ব্যাপারে পরিষ্কার নির্দেশিকা জারি করুক, এটা তাঁরা চাইছেন। আধার কার্ডের মতো রেশন কার্ডের সঙ্গে ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে অফলাইনে রেশনের খাদ্য দেওয়ার ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি।