পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এ বছর এলাহাবাদে অর্ধ কুম্ভ স্নান পর্ব শুরু হচ্ছে মকর সংক্রান্তির পুণ্য লগ্ন থেকেই। দফায় দফায় অবশ্য এই পর্ব চলবে এক মাস ধরে। এই উপলক্ষে এলাহাবাদের গঙ্গাতীরে বসবে বিশাল মেলা। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এবারই প্রথম অর্ধ কুম্ভ হতে চলেছে। এরপর পূর্ণ কুম্ভের আসর বসবে ২০২৪ সালে। কিন্তু ততদিনে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে যাবে। রাজনীতির পট বদলেরও সম্ভাবনা থাকবে। সর্বোপরি, এলাহাবাদের আদি বাসিন্দাও তিনি। সম্ভবত এই সব দিক বিবেচনা করেই নিজের বাড়ির কাছে অনুষ্ঠিতব্য কুম্ভমেলা এবং মকর সংক্রান্তির শাহি স্নানের সুযোগ গ্রহণ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে চাননি কেশরীনাথ। রাজভবনের সূত্র তেমনই জানাচ্ছে।
রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রবিবার এলাহাবাদ পৌঁছে গেলেও ওইদিন ওখানে তাঁর কোনও কর্মসূচি নেই। তবে সোম ও মঙ্গলবার এলাহাবাদে তাঁর কিছু কর্মসূচি রয়েছে। এরই মাঝে রয়েছে কুম্ভের স্নান পর্ব। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের অন্তত দু’জন মন্ত্রী কলকাতা সফরে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এবার অর্ধ কুম্ভের পুণ্য তিথিতে তাঁকে প্রয়াগ প্রাঙ্গণে হাজির থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে যান। তারপরই ত্রিপাঠি এলাহাবাদে যাওয়ার জন্য মনস্থির করেন। আগামী বুধবার রাতে তাঁর শহরে ফেরার কথা। মকর সংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে গঙ্গাসাগর থেকে এবার তাঁর দূরে থাকার এই কারণ ব্যাখ্যা করে ওই সূত্রটি জানায়, সাগরে ইতিমধ্যে একাধিকবার গিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে ঠিক মকর সংক্রান্তির ভিড়ের সময় নয়। হয় কয়েকদিন আগে, নতুবা মেলার পরে গিয়েছেন তিনি। এবার অবশ্য মেলার আগে তিনি সাগর সফরে যাননি। এখন সংক্রান্তি পর্ব মিটে যাওয়ার পর কলকাতায় ফিরে দিন কয়েক বাদে তিনি সাগরে ডুব দিয়ে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিতে যাবেন কি না, সে বিষয়ে কোনও আভাসও দেননি। তবে সেই সম্ভাবনা যে একেবারে নেই, তেমনও নয়। কারণ, চলতি বছরের জুলাই মাসে রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। দ্বিতীয়বারের জন্য স্থলাভিষিক্ত হওয়ার বিষয়ে এখনও কেন্দ্রের তরফে কোনও ইঙ্গিত নেই। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে থাকার জন্য একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি পক্ষপাতী হওয়ায় সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় পাকাপাকিভাবে এলাহাবাদে ফিরে যাওয়ার আগে একবার সাগরসঙ্গমে কেশরীনাথ পাড়ি দিতেই পারেন বলে ধারণা রাজভবনের আধিকারিকদের।