আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
শনিবার অশোকনগর বিধানসভা এলাকায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে কর্মসূচি করে বিজেপি। প্রথম কর্মসূচিটি হয় অশোকনগর বিল্ডিং মোড় এলাকার চড়ুইভাতি হলে। সেখানে উপস্থিত ছিল প্রার্থী স্বপন মজুমদার সহ দলের নবনীতা চক্রবর্তী, সুজয় দে’দের মতো ‘বিক্ষুব্ধ’দের একটি বড় অংশ। এই কর্মসূচি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিজেপির অন্য একটি গোষ্ঠী পৃথক কর্মসূচি আয়োজন করে। সেখানেও প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি কর্মসূচিতে গিয়েই স্বপনবাবু নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে এক হয়ে ভোট ময়দানে নামার আহ্বান জানান। স্বাভাবিকভাবেই একই এলাকায় দু’টি পৃথক সভা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে। বিজেপি নেতা সুজয়বাবু বলেন, ‘প্রথমে কর্মসূচিটি হয়েছিল বিক্ষুব্ধ নেতৃত্বদের নিয়ে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে সর্বতোভাবে চেষ্টা করব। আর প্রার্থী নির্দেশ দিয়েছেন, কোথাও নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব না রেখে লড়াই করতে হবে।’ বিজেপির বারাসত সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার অন্য একটি কাজ থাকায় একটি কর্মসূচিতে যেতে পারিনি। আমাদের মধ্যে কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই।’
এ প্রসঙ্গে দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, ‘ভোটের জন্য আলাদা আলাদা কর্মসূচি হতেই পারে। কোথাও আমাদের মধ্যে লড়াই নেই। আমাদের সবার লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে।’ বিজেপির এই কোন্দল নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূল নেতা গুপি মজুমদার বলেন, ‘আসলে বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। কিছু লোকজন রয়েছে, তারা নিজেরা লড়াই করছে। বিজেপির উচিত আগে নিজেদের ঘরের লড়াই বন্ধ করা। তারপর তো তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই।’